ফরিদপুরে বরযাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় মুক্তি রানী দাস (৪৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ভবুকদিয়া এলাকায় এম এম পরিবহনের একটি বরযাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে উল্টে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহত মুক্তি রানী দাস রাজবাড়ী সদরের বিনোতপুর গ্রামের দিলু কুমার দাসের স্ত্রী। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। বাকী আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের সবার বাড়ি রাজবাড়ী।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের গৌরনদী থেকে বিয়ে সম্পন্ন করে বরযাত্রীবাহী বাসটি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বিনোতপুর যাচ্ছিল (রাজবাড়ী-ব-১১-০০১৯)। পথে ভবুকদিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে উল্টে পড়ে।

নগরকান্দা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার নিরঞ্জন কুমার মণ্ডল বলেন, “রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাসের মধ্যে আটকে ছিলেন হেলপার। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মামুন বলেন, “এ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/তামিম/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫