পাবনার সাঁথিয়ায় একটি পুকুর থেকে ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে মাধপুর-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি পুকুর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁর ভ্যান ও ব্যবহৃত মুঠোফোন পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, ভ্যান ছিনতাই করতেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

ওই ভ্যানচালকের নাম সজল হোসেন (৩৮)। তাঁর বাড়ি উপজেলার খয়েরবাড়িয়া গ্রামে। সম্প্রতি তিনি ভ্যানটি কিনেছিলেন বলে পরিবার জানিয়েছে।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা বলেন, সমিতি থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে একটি নতুন ভ্যান কেনেন সজল। নিজেই ভ্যান চালিয়ে যা আয় করতেন, তা দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি ঋণের কিস্তিও শোধ করতেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তাঁর মুঠোফোনে কল দিয়ে কে বা কারা ভাড়ার কথা বলে তাঁকে ডেকে নেন। এর পর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন মাধপুর-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটি সজলের লাশ বলে শনাক্ত করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, নতুন ভ্যানটির লোভেই দুর্বৃত্তরা সজলকে হত্যা করেছে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, নতুন কেনা ভ্যানটি ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁর মুঠোফোন খোয়া গেলেও কললিস্ট ও পরিচিত ব্যক্তিদের নম্বর বের করার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। লাশের গলায় দড়ি দিয়ে প্যাঁচানোর দাগ আছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ