জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে একপক্ষের হামলার পর দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। শনিবার দুপুরে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরী বাজারে এ সংঘর্ষ হয়। হামলার জন্য একটি পক্ষ ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি স্বপন শেখ ও তাঁর লোকজনকে দায়ী করেছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, টঙ্গিবাড়ী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুমন চোকদার গনাইসার গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে একই গ্রামের আমিনুল ইসলাম চোকদারের। কয়েক দিন আগেও দু’পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার দুপুরে আমিনুল ইসলাম সিদ্ধেশ্বরী বাজারে যান। সেখানে সুমন চোকদারের পক্ষ নিয়ে পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি স্বপন শেখ ও তাঁর লোকজন নিয়ে আমিনুলদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে বাজারের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে স্বপন শেখ লোকজন নিয়ে পালিয়ে যান।

আমিনুলের বোন জুঁই আক্তার বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে আমার দাদার জানাজা ছিল। সেখান থেকে আমার ভাই সিদ্ধেশ্বরী বাজারে যান। সুমন চোকদার ও স্বপন শেখের নেতৃত্বে আমার ভাই রূপক, আত্মীয় রাকিব ও সজীবকে মেরে গুরুতর আহত করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।’

এলাকাবাসী আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। তারা হলেন– আমিনুল ইসলাম (৩২) রূপক চোকদার (৪২), রাকিব কবিরাজ (৩০) ও সজীব চোকদার (৩৪) এবং একই গ্রামের উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক গনাইসার সুমন চোকদারের পক্ষের মান্দ্রা গ্রামের মাসুম শেখ (৩৬), দীপু মজুমদার (৪০) ও শিপন শেখ।

যুবদল নেতা স্বপন শেখের ভাষ্য, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। আওয়ামী লীগের লোকজন আমাকে ও আমার লোকজনকে বাজারে এসে মারধর করেছে।’

টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় রাত পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি, পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ আহত স বপন শ খ র ল কজন ল ইসল ম আম ন ল স ঘর ষ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কাপাসিয়ায় শাপলা বিলে নৌকা থেকে পড়ে দুজনের মৃত্যু

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পাঁচজন শাপলা বিলে নৌকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। এ সময় পানিতে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় উপজেলার পাচুয়া বাউনপাড়া এলাকায় ওই বিলে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত দুজনের মধ্যে একজন কিশোর, নাম মো. মাহিন (১৭)। সে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামের নুর আলমের ছেলে। মৃত আরেকজনের নাম মো. বাইজিদ (২৫)। তাঁর বাড়িও একই গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচুয়া গ্রামে কয়েকটি বিলে প্রতিবছর শাপলা ফোটে। বর্তমানে সেখানে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। আজ সকাল আটটার দিকে শ্রীপুর থেকে পাঁচজন মিলে ওই গ্রামের একটি বিলে ঘুরতে আসেন। তাঁরা ছোট একটি নৌকায় উঠেছিলেন। একপর্যায়ে নৌকায় ভারসাম্য হারিয়ে দুজন বিলের পানিতে পড়ে তলিয়ে যান। এ সময় সঙ্গে থাকা অন্যরা ও স্থানীয় কয়েকজন ওই দুজনকে খুঁজতে পানিতে নামেন। কিছুক্ষণের মধ্যে দুজনকেই উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। আরেকজনকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কাপাসিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোসা. সামিয়া বলেন, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

পাঁচুয়া গ্রামের বাসিন্দা আক্তার হোসেন বলেন, চিৎকার–চেঁচামেচি শুনে তাঁরা বিলের কাছে এগিয়ে আসেন। পরে আশপাশের আরও লোকজনকে নিয়ে পানি থেকে ওই দুজনকে উদ্ধার করেন। তবে তাঁদের বাঁচানো যায়নি।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাপাসিয়ায় শাপলা বিলে নৌকা থেকে পড়ে দুজনের মৃত্যু