ট্রাম্পের গাজা দখল প্রস্তাবের প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ
Published: 16th, February 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা ‘দখল’ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় তাদের হাতে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’, ‘আমেরিকার বন্ধু যারা, ইসলামের শত্রু তারা’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড ও ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আল নাহিয়ান ফারদিন বলেন, “মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যার পক্ষে যারা থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ থামবে না। আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, তেমনই আমেরিকার অন্যায়ের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াবো।”
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম সাব্বির বলেন, “অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং দাঁড়াবো। মুসলিমদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে। ইতিহাস সাক্ষী, আমরা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে পেরেছি, ভবিষ্যতেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”
চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ‘দখল’ করে এটিকে পুনর্নির্মাণ ও ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ তৈরির ঘোষণা দেন। তার প্রস্তাবের লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসিত করা। ট্রাম্পের এ প্রস্তাবের পর বিশ্বব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করেছে পাকিস্তান
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। গত বুধবার রাতে দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এর ফলে পারস্পরিক শুল্ক কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। যদিও কোনো দেশই নির্দিষ্টভাবে শুল্কহার নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।
এদিকে, চুক্তির অংশ হিসেবে পাকিস্তানের তেলসম্পদ উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর ডনের।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। পাল্টা শুল্ক নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। বুধবারই তাঁর সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার, বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের বৈঠক হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরের পরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে জানায়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বাজার প্রবেশাধিকার জোরদার করা এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ ও পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করাই এ চুক্তির মূল লক্ষ্য।
পাকিস্তান দূতাবাস আরও জানায়, চুক্তির ফলে পাকিস্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক কমবে। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য আরও ভালো হবে। অবকাঠামো ও উন্নয়ন খাতেও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়বে।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। এখন থেকে দেশটির বিশাল তেলসম্পদের উন্নয়নে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে।’ ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘আমরা এখন তেল কোম্পানি বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় আছি। কে জানে, একদিন হয়তো পাকিস্তান ভারতেও তেল রপ্তানি করবে!’
তবে চুক্তিটির বিস্তারিত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এ চুক্তির বিষয়ে আজ সকালে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি এক্সে লেখেন, ‘এই ঐতিহাসিক চুক্তি আমাদের স্থায়ী অংশীদারত্বকে আরও জোরদার করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের নেতৃত্বে এমন একটি চুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে আমি কৃতজ্ঞ।’
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আওরঙ্গজেব চুক্তিটিকে ‘উইন-উইন’ বা উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক বলে বর্ণনা করেছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘যে যাত্রা আমরা কয়েক মাস আগে শুরু করেছিলাম, আজ তা সফলভাবে শেষ হলো।’
আওরঙ্গজেব আরও বলেন, ‘শুল্ক আলোচনার পাশাপাশি অশুল্ক বাধা, বাণিজ্য ভারসাম্য ও শুল্ক কাঠামোর পুনর্মূল্যায়ন নিয়েও আমরা কাজ করেছি।’