ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চার যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ১৫
Published: 17th, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশায় পরপর চারটি যানের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের কামাড়াখোলা এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকালে শ্রীনগরের কামাড়খোলা এলাকায় ঘন কুয়াশায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপকে পেছন থেকে কার্ভাডভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে এ দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় একই লেনে পেছনে আসা দুইটি বাস পরপর পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে দুমড়ে মুচড়ে যায় দুইটি যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ। এ সময় অন্তত ১৫ জনের আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলো কেটে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, দুর্ঘটনার পর একটি গাড়ি চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত যানগুলো থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূলত ঘন কুয়াশার জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এক্সপ্রেসওয়েতে এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।