সিলেট মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২৫৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি
Published: 17th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট মহানগর শাখার ২৫৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনের পর সোমবার এ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ৬ মাসের জন্য এই কমিটির অনুমোদন দেন।
কমিটিতে শাবি শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসাইনকে আহ্বায়ক, মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী তামিম আহমেদকে সদস্য সচিব, এমসি কলেজের শিক্ষার্থী হাসান আহমদ চৌধুরী মাজেদকে মুখ্য সংগঠক ও মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মো.
এছাড়া কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক ১৯ জন, যুগ্ম সদস্য সচিব ২৩ জন, সংগঠক ৩০ জন ও ১৭৭ জন সদস্য রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন কলেজের ১৯ জন যুগ্ম আহ্বায়কের মধ্যে রয়েছেন মাহফুজুর রহমান সাকের, লুৎফুর রহমান, ফাহিমা আক্তার, সায়মন সাদিক জুনেদ, মুহাম্মাদ বিজয় খান, মোহাম্মদ জিয়াদ উল ইসলাম, সালমা বেগম, রুহুল আমিন, ফুয়াদ হাসান, তৈয়বুর রহমান তুহিন, আলি নেওয়াজ, মো. হালিম, আব্দুস ছামাদ সাদ্দাম, আতাহার আলী রাহাত, মো. জুবায়ের আহমদ, রেদোয়ান হোসেন শাওন, মো. জবরুল ইসলাম রায়হান ও শাহাবুদ্দিন খান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব