নিলামে বিক্রি হয়নি সাবেক এমপিদের আমদানিকৃত নতুন গাড়ি
Published: 18th, February 2025 GMT
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্যরা বিনা শুল্ক সুবিধায় আমদানি করেছিলেন কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি। সেইসব গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালেও খালাস করে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তাদের। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতন হলে পালিয়ে যান তারা।
পলাতক সাবেক সংসদ সদস্যদের এসব দামি গাড়ি গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নিলামে তুলেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমস-এর নিলাম শাখা। তবে, কোটি টাকা দামের এসব নতুন গাড়ির দাম উঠেছিল সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি সাবেক সংসদ সদস্যদের গাড়িগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্যদের আমদানিকৃত ল্যান্ড ক্রুজার ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল ২৪টি গাড়ি নিলামে তুলেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমস নিলাম শাখা। শুল্ক পরিশোধের পর এসব গাড়ির প্রতিটির শো-রুম মূল্য সর্বনিম্ন দেড় কোটি টাকা থেকে ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত। নিলামে দরদাতারা গাড়ির মূল্য হাঁকিয়েছেন সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা থেকে দেড় কোটি টাকার মধ্যে। তবে একটি গাড়ির দাম সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। নিলাম শাখার সংরক্ষিত দামে কেউ নিলাম না ডাকায় কোনো গাড়িই গতকাল বিক্রি হয়নি।
আরো পড়ুন:
১২ বছর গাড়িতে হর্ন বাজান না উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ, নেই যানজট
চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার সাকিব হোসেন বলেন, “সাবেক সংসদ সদস্যদের আমদানিকৃত ২৪টি গাড়ি গতকাল নিলামে তোলা হয়। এসব গাড়ির মধ্যে একটি রিকন্ডিশন এবং অপর ২৩টি নতুন। সবার জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে অংশ নেওয়ায় আগ্রহী ক্রেতারা এসব গাড়ির মূল্য আশানুরূপ দাম বিট করেননি।”
তিনি আরো বলেন, “গাড়িগুলো কাস্টমস-এর সংরক্ষিত মূল্যের অর্ধেক দামও বলেননি ক্রেতারা। ফলে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি। পরবর্তীতে আবারও এসব গাড়ির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ ব্যাপারে এনবিআর-এর পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
নিলামে দরপত্র বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্যদের যে ২৪টি গাড়ি গতকাল নিলামে তোলা হয় তার মধ্যে টয়োটা ব্র্যান্ডের ৯টি ল্যান্ড ক্রুজারের জন্য কোনো আবেদন ও দরপ্রস্তাব জমা পড়েনি। বাকি গাড়িগুলোর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেনের আমদানি করা একটি গাড়ির দাম উঠেছিল ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। অন্য গাড়িগুলোর দাম ওঠে ৫ লাখ থেকে দেড় কোটি টাকার মধ্যে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন এসব গ ড় র র আমদ ন ক স টমস গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত//