কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল
Published: 18th, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ‘সন্ত্রাসী’ হামলার তীব৶ নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে। এরপর বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘৭১–এর গণহত্যা’ ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা সন্ত্রাস এক সাথে চলে না’, ‘কুয়েটিয়ান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘কুটিয়ানদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সাঈদ থেকে মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ও ‘যেই হাত ছাত্রদলের, সেই হাত ভেঙে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো.
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ মুখপাত্র সিয়াম হোসাইন বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে আমাদের ওপর দমনপীড়ন চালিয়েছে। সেই একই কায়দায় ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এখনই সময় তাদের প্রতিহত করার। না হলে অদূর ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের মতো তারাও আমাদের ওপর চড়াও হবে। যদি আবারও এই অবস্থা তৈরি হয় তাহলে গণ–অভ্যুত্থানের মতো আবারও আমরা এক হয়ে আন্দোলনে নামব।’
আরও পড়ুনকুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির বলেন, ‘যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, তারা শিক্ষার্থী হতে পারে না। সন্ত্রাসীরা কোনো ছাত্র হতে পারে না। ট্যাগিং দিয়ে রাজনীতির পথ বন্ধ করবেন না। সব কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে। ছাত্র এবং সন্ত্রাসী একসঙ্গে থাকতে পারে না। যদি কোনো ছাত্রের ওপর হাত তোলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না।’
আরও পড়ুনছাত্রলীগ গেছে যে পথে, আপনারা যাবেন সে পথে: ছাত্রদলের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ১ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সংস্থাটির সবাইকে একত্রিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতিসহ জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এই সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরিপূর্ণ দায়িত্বশীল হয়ে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সভায় কর্মকর্তাদের দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বিএসইসির কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা আগের সব ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি কমিশনের বিভিন্ন সমস্যার সুরাহা করার বিষয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আশ্বাস দেন তাঁরা।
বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।