গত বছরের ১৫ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় অনন্য মামুন পরিচালিত সিনেমা ‘দরদ’। শাকিব খান অভিনীত এই সিনেমাটি প্যান ইন্ডিয়ান দাবি করলেও সিনেমাটি ভারতেই মুক্তি পায়নি। এ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। অবশেষে সিনেমাটি মুক্তির তিন মাস পর ভারতে মুক্তির খবর জানা গেল।

মুক্তির তিন মাস পর ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের পেজে লিখেছে, ‘খেলায় আজ শুধুই ভাব, হবে না কোনো আড়ি, দরদ নিয়ে শাকিব খান, আসছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।’ তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ, নাকি ভারতের অন্য রাজ্যে মুক্তি পাবে ‘দরদ’ জানায়নি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় রোমান্টিক সাইকো-থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। ছবির প্রযোজক হিসেবে আছেন অশোক ধানুকা, হিমাংশু ধানুকা, কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া ও অনন্য মামুন। সহপ্রযোজক (হিন্দি) হিসেবে আছেন করণ শাহ (ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ)।

‘দরদ’ সিনেমার গল্পে দেখা যায়, বারানসিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি খুন হতে থাকে—এ ঘটনা সবাইকে হতবাক করে। এসব ঘটনায় দুলু মিয়ার ওপর সন্দেহ গিয়ে পড়ে। এরপর কী হয়, তা নিয়েই এগিয়েছে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার এ সিনেমার গল্প। এতে দুলু মিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান। তিনি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সোনাল চৌহান, পায়েল সরকার, রাহুল দেব, রাজেশ শর্মা।

সিনেমাটিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।

ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।

নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।

আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।

আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?

সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ