ট্রেন চালকের দক্ষতায় প্রাণে বাঁচলেন ইজিবাইকের ৫ যাত্রী
Published: 22nd, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন চালকের দক্ষতার কারণে ইজিবাইকে থাকা পাঁচজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে শহরের কাউতলী তিতাস পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুন:
মোবাইলে কথা বলতে বলতে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে হাত বিচ্ছিন্ন
কুষ্টিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। জেলা শহরের কাউতলী তিতাস পাড়া এলাকায় একটি ইজিবাইক রেললাইন অতিক্রম করার সময় আটকা পড়ে। ইজিবাইকে এসময় চালকসহ পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। ওই এলাকা অতিক্রম করার সময় দূর থেকে ইজিবাইক রেললাইনে আটকে গেছে দেখতে পেয়ে ট্রেন থামান লোকোমাস্টার শাহ মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন খান।
লোকোমাস্টার শাহ মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন খান
ইজিবাইকের কাছাকাছি গিয়ে ট্রেন থামান তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে রেললাইন থেকে ইজিবাইকটেকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় নিয়ে যান। এতে ইজিবাইকের চালকসহ পাঁচজন প্রাণে বেঁচে যান।
জেলা শহরের ভাদুঘর গ্রামের মো.
ফেসবুক লাইভে জামাল খানকে বলতে শোনা গেছে, “একটি অটো (ইজিবাইক) কাউতলীতে আটকে গেছিল। ড্রাইভারের (ট্রেন চালক) দক্ষতার কারণে মানুষগুলো বেঁচে যায়। উনি তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন নিয়ন্ত্রণে আনছেন। দুই হাত দূরত্বে অটো ও ট্রেন ছিল।” ফেসবুক লাইভে স্থানীয় লোকজনদের জড়ো হতে দেখা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাষ্টার জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তার জানা নেই। কারো কাছ থেকে কিছু শোনেননি।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার (চালক) শাহ মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন খান বলেন, “এটি আল্লাহ’র রহমত। আমার কিছুই করার ছিল না। আমি ভেবেছিলাম ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গেছে। পরে দেখলাম লাগেনি।”
তিনি আরো বলেন, “চারদিকে গাছপালা ও ঘোলা। কিছুই স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল না। ৫০-৬০ গজ দূরত্ব থেকে একটি অটো পেছন থেকে কেউ ঠেলছে। ভেতরে যাত্রী আছে বলে মনে হয়েছে। কিছু একটার মধ্যে আটকে গেছে মনে হয়েছে। ভেতরের যাত্রীরা নামবে বা নামছে। তখনো অটো ছাড়া স্পষ্ট কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। ট্রেনের ব্রেক কষলাম, খুব কাছাকাছি গিয়ে ট্রেন থামল।”
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫