এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি বা এর ওপর রাখতে হবে, পরিপত্র জারি
Published: 23rd, February 2025 GMT
সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপর রাখার অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আজ রোববার এক পরিপত্রে এই অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আসন্ন পবিত্র রমজান ও গরমের মৌসুমে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপর রাখার জন্য অনুরোধের কথা জানিয়েছিলেন। এ অনুরোধ উপেক্ষা করা হলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সেদিন বলেছিলেন তিনি।
এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরিপত্র জারি করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাল। পরিপত্রে বলা হয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের অভীষ্ট তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নির্ধারণের পরামর্শ পাওয়া গেছে। এবার রমজান, গ্রীষ্মকাল ও সেচ মৌসুম একই সময়ে শুরু হবে। সে জন্য আসন্ন মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। শীতাতপ থার্মোস্ট্যাট নির্ধারিত তাপমাত্রায় ব্যবহারের মাধ্যমে এ চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এ অবস্থায় সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপর নির্ধারণসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত যথাযথ বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে অবহিত করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এবং বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অবহিত করার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এনজিওবিষয়ক ব্যুরোকে অনুরোধ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২৫ ড গ র স লস য় স ব সরক র মন ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।