সাভারের হেমায়েতপুরে সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হেমায়েতপুরের নালিয়াসুর এলাকার নবাব আলীর মালিকানাধীন একতলা  বাড়িতে এ বিস্ফোরণ ঘটে। দগ্ধরা হলেন, মো.

সোলায়মান (১৪), সুজাত মোল্লা (২৬), মো. জিসান (২০), মোছা. হালিমা (৪২), মোছা. শিল্পী (৩৫), মোছা. আমেনা (৬০) ও মো. সজিব (৮)। 

প্রত্যক্ষদর্শী মো. আকাশ জানান, নালিয়াসুর নবাব আলীর বাড়ি এক তলার। সিলিন্ডারটি পুরনো ছিল। উনাদের বাসায় আসা আত্মীয়দের এগিয়ে দিতে গিয়েছিলেন তারা। দরজা লাগানো ছিল। এরমধ্যে গ্যাসের গন্ধ আসছিল। এ জন্য আশপাশের লোকজন তাদের কল দিয়ে বলেন, ঘর থেকে গ্যাসের গন্ধ আসছে। তখন তালা ভাঙতে গিয়ে স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুন লেগে যায়। আশপাশে থাকা সাতজনের শরীর পুড়ে যায়। এরমধ্যে বাড়িওয়ালার স্ত্রী, মেয়ে, তার শিশু ছেলে রয়েছে। তাদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরো পড়ুন:

জানুয়ারিতেও বাড়ছে না গ্যাসের দাম

পুরনো দামেই এলপি গ্যাস 

এর আগে ভোরে আশুলিয়ার দুর্গাপুর এলাকায় সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। 

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। 
 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ