গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী এলাকায় আদুরী কুঞ্জ পিকনিক স্পট ও রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে চিতাবিড়াল, বানর এবং আটটি চিত্রা হরিণ জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার এক বিক্রেতার কাছ থেকে ২টি হনুমান এবং একটি দোকান থেকে ২০টি টিয়া, ১২টি ঘুঘুসহ মোট ৪৪টি বন্য প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার করা বন্য প্রাণীগুলো গাজীপুরের সাফারি পার্কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক আবদুল্লাহ আস সাদিক বলেন, গাজীপুর জেলার পিরুজালী এলাকায় বিভিন্ন রিসোর্ট ও পিকনিক স্পটে গড়ে উঠেছে মিনি চিড়িয়াখানা। এসব স্থানে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে বন্য প্রাণী অবৈধভাবে সংগ্রহ ও প্রদর্শন করা হচ্ছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে আদুরী কুঞ্জ পিকনিক স্পট ও রিসোর্টে অভিযান চালানো হয়।

আবদুল্লাহ আস সাদিক আরও বলেন, এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করতে বন অধিদপ্তর আরও কঠোর নজরদারি ও অভিযান চালিয়ে যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন য প র ণ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ