আকিবের বিজ্ঞাপন পেল সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড
Published: 27th, February 2025 GMT
বিজ্ঞাপন নির্মাতা মুনতাসির আকিবের বানানো বিজ্ঞাপন পেলো ব্রান্ড ফোরাম আয়োজিত ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৪। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেয়া হয় বিজ্ঞাপনী সংস্থা স্টারকম বাংলাদেশের হাতে।
এমজিআই প্রেজেন্স ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের অষ্টম সংস্করণে মুনতাসির আকিব নির্মিত "পিবিএস: ব্রিজিং ট্রেডিশন অ্যান্ড টেকনোলজি" ক্যাম্পেইন ই-কমার্স বিভাগে সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে রৌপ্য পুরস্কার পায়।
৮ম ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডে ২৪টি ক্যাটাগরিতে ৭৪টি ক্যাম্পেইনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলোর অসাধারণ সৃজনশীলতা এবং কার্যকর ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করেছে। ৫০০ বেশি অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র জগতে মুনতাসির আকিব ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ থেকে মিডিয়া স্টাডিজে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এবং স্কয়ার গ্রুপে ক্রিয়েটিভ বিভাগে কাজ করেছেন।
২০১৮ সালে এই নির্মাতা ফিল্ম ম্যানিয়া নামে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণ শুরু করেন। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে তিনি ‘প্রেমিক ১৯৮২’ নামে সত্য ঘটনা অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তারপর ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কাদের আইসক্রিম’নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভালে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষ চিন্তা করতে পারেনি, তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানেরা জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমেছিল, আমরাও তাদের সঙ্গে ছিলাম। তারা ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছে। এক বছর আগেও মানুষ চিন্তা করতে পারেনি যে তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে। কিন্তু আজ সারা দেশের জনগণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই সর্বময় ক্ষমতার মালিক। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং ইচ্ছেমতো কেড়েও নেন। তা আমরা জুলাই বিপ্লবে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছি।’
আজ সোমবার সন্ধ্যায় খুলনার খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘সহযোগী সদস্য সংগ্রহ অভিযান-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথাগুলো বলেন।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচন নিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘২০১৪ সালে তারা ষড়যন্ত্র করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করেছিল। কেউ নির্বাচনে যায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায়। যেখানে রাতেই ভোট হয়ে গিয়েছিল। আর এসব নির্বাচনে হাসিনাকে সঙ্গ দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আমরা একটা কালো যুগ পার করেছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের সব অধিকার হরণ করেছিল। মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। মানুষকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে দেয়নি। তারা মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়নি।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যারা হাত-পা হারিয়েছে, যারা নির্যাতিত হয়েছে, তারা কখনোই এসব খুনিকে ক্ষমা করবে না। খুনিদের বিচার করতে হবে এবং সব স্তরে সংস্কার করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে, যেখানে কালোটাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থাকবে না। নির্বাচন জনগণের অধিকার। জনগণই তাঁদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। যাঁরা নির্বাচনে কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার করতে চাইবেন, জনগণ তাঁদের প্রতিহত করবেন।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতার দম্ভে মানুষের ওপর লাগামহীন জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা না করে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জেল-জুলম, গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তারা মনে করেছিল যে তাদের এমন অপশাসন ও দুঃশাসন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। কিন্তু আল্লাহ জালিমদের ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না।’
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে, বেকারত্ব ও চাঁদাবাজি থাকবে না। যেখানে মা-বোনেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না। আমরা সাম্যের ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
খানজাহান আলী থানা জামায়াতের আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও বায়তুল মাল সেক্রেটারি হাফেজ আমিনুল ইসলাম। গণসংযোগের সময় স্থানীয় মার্কেটের ব্যবসায়ী, পথচারী, স্থানীয় বাসিন্দা, গাড়িচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দাওয়াত দেওয়া হয়।