বিজ্ঞাপন নির্মাতা মুনতাসির আকিবের বানানো বিজ্ঞাপন পেলো ব্রান্ড ফোরাম আয়োজিত ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৪। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেয়া হয় বিজ্ঞাপনী সংস্থা স্টারকম বাংলাদেশের হাতে। 

এমজিআই প্রেজেন্স ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের অষ্টম সংস্করণে মুনতাসির আকিব নির্মিত "পিবিএস: ব্রিজিং ট্রেডিশন অ্যান্ড টেকনোলজি" ক্যাম্পেইন ই-কমার্স বিভাগে সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে রৌপ্য পুরস্কার পায়। 

৮ম ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডে ২৪টি ক্যাটাগরিতে ৭৪টি ক্যাম্পেইনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলোর অসাধারণ সৃজনশীলতা এবং কার্যকর ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করেছে। ৫০০ বেশি অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র জগতে মুনতাসির আকিব  ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ থেকে মিডিয়া স্টাডিজে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এবং স্কয়ার গ্রুপে ক্রিয়েটিভ বিভাগে কাজ করেছেন। 
২০১৮ সালে এই নির্মাতা ফিল্ম ম্যানিয়া নামে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণ শুরু করেন। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে তিনি ‘প্রেমিক ১৯৮২’ নামে সত্য ঘটনা অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তারপর ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কাদের আইসক্রিম’নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভালে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ