৫৩তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাইকেলিংয়ে নারীদের মধ্যে দেশসেরা হয়েছে যশোরের কেশবপুরের প্রিয়া খাতুন। সে কেশবপুরের গড়ভাঙা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর আগে ৫২তম আসরেও সে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল।

২৫ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রিয়া ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও অঞ্চল পেরিয়ে সাইকেলিং প্রতিযোগিতায় সেরার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রিয়া। তার হাতে ট্রফি তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ।

গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে কেশবপুরে এসে পৌঁছায় প্রিয়া খাতুন। তখন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এলাকার মানুষ।

গড়ভাঙা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রভাত বসু বলেন, ‘প্রিয়ার সাফল্যে আমরা গর্বিত।’ ক্রীড়া শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, কঠোর অনুশীলন ও একাগ্রতা প্রিয়াকে সাফল্যের শেষ চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।

গরিব পরিবারের সন্তান প্রিয়া খাতুন ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি প্রচণ্ড রকমের আগ্রহী। সব খেলাতে সে পারদর্শী। তবে সাইকেলের প্রতি তার আগ্রহটা বেশি। সে কারণে ছোটবেলা থেকেই সে গ্রামে সাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। সেই সাইকেলিংয়ে এখন সে দেশসেরা। প্রিয়ার মা লাকি বেগম সন্তানের সাফল্যে খুবই খুশি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন প্রিয়া খাতুনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রিয়ার সাফল্যে কেশবপুরবাসী গর্বিত। গড়ভাঙা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে প্রমাণ করেছে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েও যদি ইচ্ছা শক্তি থাকে তাহলে অবশ্যই সেরা হওয়া যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক শবপ র স ফল য

এছাড়াও পড়ুন:

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।

পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন। 

আরো পড়ুন:

মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?

আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী

অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।

‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ