ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের ৯ সদস্যের কমিটিতে ৭ নারী শিক্ষার্থী
Published: 1st, March 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ সদস্যবিশিষ্ট ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ৭ জন নারী শিক্ষার্থী। কমিটি ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো সীমিত। তবে সারা দেশের এই চিরচেনা বাস্তবতাকে বদলে দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি।
গত কাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান শাহিন ও সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কনিকা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন দেওয়ান নুসরাত। কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদেও নারীদের প্রাধান্য ফুটে উঠছে। সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন পুষ্পা আক্তার, সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন আয়েশা সিদ্দিক পান্না ও মুক্তা আক্তার। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নূসরাত জাহান তনু ও নাজনীন আক্তার।
এই কমিটিতে পুরুষ সদস্য হিসেবে রয়েছেন দুজন। তানভীর মিয়া, যিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন। মো.
সভাপতি নির্বাচিত হওয়া কনিকা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “সারা দেশে নারীরা পিছিয়ে ছিল। কিন্তু জুলাই-আগস্টের বিপ্লব আমাদের শিখিয়ে গেছে নারীরা চাইলেই সব কিছু করতে পারে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের নেপথ্যে নারীদের ভূমিকা ছিল সবার আগে। তাছাড়া আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চাইছেন নারী নেতৃত্ব এগিয়ে আসুক।”
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান শাহিন ও সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী বলেন, “নারীরা আর পিছিয়ে নেই। তারা পিছিয়ে থাকবে না। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বিএনপির সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের দেশনেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে মেয়েরাও এগিয়ে ছিল। আমরা যখন নাসিরনগর গিয়ে ছাত্রদলের সদস্য ফরম বিতরণ করি তখন মেয়েরাই এগিয়ে আসে। সেখানে ছেলেদের খুব একটা এগিয়ে আসতে দেখিনি। তাছাড়া আমাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়াও নারী। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও নির্দেশ আছে- যে নারী ছাত্রদল করতে এগিয়ে আসবে তাদের প্রাধান্য দিতে তাই দলের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া আমাদের দলের লক্ষ্য।”
প্রসঙ্গত, কলেজ কমিটিতে নারী নেতৃত্বের এমন অংশগ্রহণ স্থানীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা/রুবেল/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র হ মণব ড় য় ছ ত রদল র আম দ র দ কম ট ত রহম ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস