ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সরাইলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
Published: 2nd, March 2025 GMT
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীরা কায়ছান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান ও সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। প্রায় প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট লেগে থাকে। এর প্রভাব পড়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ও সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কে। দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার চালক ও যাত্রী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৩৪ কিলোমিটার পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাড়ে ১০ কিলোমিটার অংশসহ ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছিল পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে। কাজটি করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ২০২২ সালে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। শুরু থেকেই কাজটি ধীরগতিতে চলছে। কাজের অংশ হিসেবে বিশ্বরোড মোড়ের আশপাশে বালু ফেলে রাখা হয়েছে। এসব বালুর ওপর গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা ও টংঘর। এ ছাড়া বিশ্বরোড মোড়ের চারপাশে সড়কে অসংখ্য ছোট–বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে বিশ্বরোড মোড়কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আজ ছোট–বড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন।
তবে প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, মোড়ের পূর্ব পাশের স্থায়ী দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়নি। মোড়ের পূর্ব পাশে সওজের বিশাল এলাকা। যেখানে নির্মাণ করা হয়েছিল পাকা সড়ক। এটি কয়েকজন প্রভাবশালী দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছেন শতাধিক স্থাপনা। প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ভাড়া নিচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মামুন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কের নির্মাণকাজের ওপর অনেক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে একদিকে কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে যানজট তৈরি হচ্ছে। পবিত্র রমজান মাসে ধীরে ধীরে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এতে যানজটও বেড়ে যাবে। এ জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পূর্ব পাশের স্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, রোজার কারণে দুপুরের পর অভিযান বন্ধ করতে হয়েছে। পূর্ব পাশের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁদেরও উচ্ছেদ করা হবে।
ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কের কাজ দ্রুত করতে ও মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। কাজটি মূলত হাইওয়ে পুলিশের। তাঁরা তাঁদের সহায়তা করেছেন। উচ্ছেদ অভিযান থেকে কোনো জায়গা বাদ পড়লে তাঁদেরও উচ্ছেদ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব শ বর ড ম ড় ক য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত নায়িকা আরিফা পারভীন মৌসুমী। সোমবার (৩ নভেম্বর) ৫২ বছর বয়স পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ এই দিনে দেশে নেই, সন্তানদের সঙ্গে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মৌসুমী।
মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তার স্বামী ওমর সানী। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে চিত্রনায়ক ওমর সানী কয়েকটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে স্ত্রীকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর
তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
এসব ছবির ক্যাপশনে ওমর সানী লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দূরে থেকেও আমরা কাছে এটাই বাস্তব, আর যারা আমাদেরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা নিউজ করে ওরা হচ্ছে…। শুভ জন্মদিন।”
জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রিয় অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ওমর সানীর এই পোস্টে নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মৌসুমীকে।
চিত্রনায়িকা মুনমুন লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, প্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী আপা।” শাহনূর লেখেন, “শুভ জন্মদিন আপু।” আইরিন সুলতানা লেখেন, “শুভ জন্মদিন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন মৌসুমী। তার বাবার নাম নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান।
চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে। এ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম সিনেমাতে নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেন। তারপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী।
নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
ঢাকা/শান্ত