সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ
সুইডিশ ইনস্টিটিউট থেকে স্কলারশিপ পেলে কোনো ফান্ড ছাড়াই সুইডেনে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। সুইডেনে স্নাতকোত্তর করতে আগ্রহী হলে এই স্কলারশিপের জন্য চেষ্টা করা যেতে পারে। সুইডিশ ইনস্টিটিউট থেকে প্রদত্ত স্কলারশিপ টিউশন ফি ছাড়াও জীবনযাত্রার ব্যয়, বীমা এবং ভ্রমণ খরচ কাভার করে। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশকিছু দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।
স্কলারশিপ সম্পর্কে তথ্য পেতে
https://si.
ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট বার্সারিজ ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট
ইতালির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ইউরো খরচে পড়াশোনার সুযোগ। সেখানে একটি স্কলারশিপ পেলে টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি জীবনযাত্রার খরচের জোগানও পাওয়া যাবে। সাধারণত ডিগ্রি কোর্স, পিএইচডি কোর্স এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্কলারশিপ অফার করে। ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট বার্সারিজ ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট স্কলারশিপ সম্পর্কে জানতে
https://en.unito.it/studying-unito/scholarships-international-students
ব্রিটিশ শেভেনিং স্কলারশিপ
শেভেনিং অ্যাওয়ার্ড সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে– শেভেনিং স্কলারশিপ এবং শেভেনিং ফেলোশিপ। ব্রিটিশ দূতাবাস এবং হাইকমিশন কর্তৃক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্কলারশিপ গ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হয়। এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ টিউশন ফি, নির্দিষ্ট হারে আবাসিক ভাতা, যুক্তরাজ্যে একটি ইকোনমি ক্লাসের রিটার্ন বিমানের ভাড়া এবং ওয়ার্কশপের জন্য অন্যান্য ভ্রমণ খরচ কভার করে।
শেভেনিং স্কলারশিপের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে, আবেদনের তারিখ, পদ্ধতি এবং অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত জারা যাবে–
https://www.chevening.org/
আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রাম
ফ্রান্স ইতোমধ্যে বিনা টিউশনে শিক্ষার জন্য পরিচিতি পেয়েছে। এ ছাড়া ফ্রেঞ্চ সংস্থা ক্যাম্পাস ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে সহায়তা করে। আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রাম মাসিক ভাতা, রিটার্ন ট্রিপ, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য বীমার খরচ কাভার করে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নশীল দেশ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে উন্নয়নশীল ও শিল্পোন্নত থেকে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে।
আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপে আবেদন করতে https://www.campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence
সুইস গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপ
সুইজারল্যান্ড কম খরচে পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত হলেও এখানকার জীবনযাত্রার খরচ বেশি এবং ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের কাজ করার অনুমতিও পাওয়া যায় না। তাই সুইস গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয় এখানে। মূলত সুইজারল্যান্ডের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে যে কোনো একাডেমিক ক্ষেত্রে পোস্টডক্টরাল বা ডক্টরাল গবেষণা করার জন্য এই স্কলারশিপ অফার করা হয়। প্রতি বছর সুইস কনফেডারেশন সুইজারল্যান্ড এবং অন্যান্য ১৮০টিরও বেশি দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিনিময় এবং গবেষণা সহযোগিতার প্রচারের জন্য গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রদান করে। এটির মাধ্যমে টিউশন ফি, মাসিক ভাতা, লোডিং ভাতা এবং স্বাস্থ্য বীমা পাওয়া যায়। ফেডারেল কমিশন ফর স্কলারশিপ ফর ফরেন স্টুডেন্টস (এফসিএস) কর্তৃক স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিধারী তরুণ গবেষকদের সুইস গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপের জন্য নির্বাচন করা হয়। বিস্তারিত জানতে
https://www.sbfi.admin.ch/sbfi/en/home/education/scholarships-and-grants/swiss-government-excellence-scholarships.html
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট উশন ফ
এছাড়াও পড়ুন:
‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত নায়িকা আরিফা পারভীন মৌসুমী। সোমবার (৩ নভেম্বর) ৫২ বছর বয়স পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ এই দিনে দেশে নেই, সন্তানদের সঙ্গে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মৌসুমী।
মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তার স্বামী ওমর সানী। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে চিত্রনায়ক ওমর সানী কয়েকটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে স্ত্রীকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর
তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
এসব ছবির ক্যাপশনে ওমর সানী লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দূরে থেকেও আমরা কাছে এটাই বাস্তব, আর যারা আমাদেরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা নিউজ করে ওরা হচ্ছে…। শুভ জন্মদিন।”
জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রিয় অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ওমর সানীর এই পোস্টে নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মৌসুমীকে।
চিত্রনায়িকা মুনমুন লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, প্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী আপা।” শাহনূর লেখেন, “শুভ জন্মদিন আপু।” আইরিন সুলতানা লেখেন, “শুভ জন্মদিন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন মৌসুমী। তার বাবার নাম নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান।
চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে। এ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম সিনেমাতে নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেন। তারপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী।
নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
ঢাকা/শান্ত