নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্তকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা কেন অসাংবিধানিক নয়, হাইকোর্টে রুল
Published: 3rd, March 2025 GMT
নীতিমালা ছাড়াই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করার ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক হবে না এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত নীতিমালা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পক্ষে রিটে উল্লেখিত বিবাদী মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, সরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহসীন কবীর রকি। আদেশের পর ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বছরের পর বছর রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগে চূড়ান্ত অপব্যবহার করা হচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদেরও ক্ষমা করা হয়েছে। এর ফলে, সাধারণ জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশংকা হয়। ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও হতাশাগ্রস্ত হন বিচারপ্রার্থীরা। তাই এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক। এজন্য গত ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করতে পারেন। অথচ এই ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ, যার কোনো নীতিমালা নেই। কেন, কিসের ভিত্তিতে আসামি ক্ষমা পাচ্ছে তার কোনো নীতিমালা নেই। এটি সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নীতিমালা না থাকায় রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ, আসলাম ফকিরসহ অনেক আসামিকেই বিগত দিনে ক্ষমা করার পর এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত অপব যবহ র ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।