বগুড়ার শাজাহানপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে পারভেজ হোসেন (২৫) নামের তরুণকে হত্যার ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও চার থেকে পাঁচজনকে।

নিহত পারভেজ চকলোকমান খোন্দকারপাড়ার রিয়াজুল ইসলাম শেখের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন।

আসামিরা হলেন নিহত পারভেজের বন্ধু মো.

নিশাদ (২০), নিশাদের বাবা মো. মানিক (৪৫) ও চাচা হিরু (২৫)। তাঁদের বাড়ি চকলোকমান খোন্দকারপাড়ায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বগুড়া শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের চকলোকমান খোন্দকারপাড়ার উল্কা মাঠসংলগ্ন আর্ট কলেজের পাশে ডেকে নিয়ে পারভেজকে হত্যা করা হয়। এ সময় পারভেজের বন্ধু আতিকুল ইসলামকেও (২২) ছুরিকাঘাত করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিশাদ ও পারভেজ দুজন বন্ধু। ৩ মার্চ ইফতার ও মাগরিবের নামাজের পর নিশাদের বাবা মো. মানিক বাড়ি থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ দূরে আর্ট কলেজের সামনে পারভেজকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। আগে থেকে সেখানে ছিলেন নিশাদ ও তাঁর চাচা হিরু। পারভেজ সেখানে আসা মাত্র তাঁর ওপর হামলা করা হয়। এ সময় তাঁর বন্ধু আতিকুলকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন পারভেজ ও আতিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত আটটার দিকে চিকিৎসকেরা পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াদুদ আলম বলেন, পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। ওই মামলার নিহত ব্যক্তির বন্ধু নিশাদ, নিশাদের বাবা এবং চাচাকে আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপন করেছেন। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম র বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ ভুক্তভোগী পরিবারের
  • মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা