চট্টগ্রামে পাচার করে বিক্রির জন্য ৬৯৭টি নানা প্রজাতির পাখি শিকার করেছিলেন তিন শিকারি। গোপনে সংবাদ পেয়ে গতকাল বুধবার তাদের জেলার আনোয়ারা থেকে আটক করা হয়। সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হাইলদর ইউনিয়নে ইছামতী গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। পরে তিনজনকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিই পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা হলেন– ছৈয়দুল আলম (৫০), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৫) ও মো.

সোহেল (৩০)।

এলাকাবাসীর বরাতে পুলিশ জানায়, ইছামতী নদীর পারের বিলে তারা তিন দিন ধরে নানা প্রজাতির পাখি শিকার করেন। বুধবার সকালে সেগুলোকে জবাই করে। পরে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন শিকারিরা। গোপনে সংবাদ পেয়ে আনোয়ারা থানা পুলিশের একটি দল সকাল ১০টার দিকে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছে পাওয়া যায় জবাই করা ৬৯৭টি পাখি। এর মধ্যে ৪২২টি চড়ুই, ১৪০টি বাবুই ও ১৩৫টি শালিক পাখি।

আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়েছে। এতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিনজনকেই বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

প্রকারভেদ

কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—

মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।

শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।

সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।

কেন করা হয়?

এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—

কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।

সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।

কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

ডিপ্রেশন বা হতাশা

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা

ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া

আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া

আত্মহত্যার প্রবণতা

শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া

ওজন বেড়ে যাওয়া

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া

মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।

প্রতিরোধের উপায়

ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।

প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব