কাচ বিক্রি করে ক্রেতার কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করেছেন বিক্রেতা। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ক্রেতা। শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত টাকা ক্রেতাকে ফেরত দিয়েছেন বিক্রেতা। পাশাপাশি দোকানিকে গুনতে হয়েছে জরিমানা।

এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ঘটনা। আজ মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের শুনানি হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শহরের কালাইশ্রীপাড়া রোডে অবস্থিত আনাস গ্লাস স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ হিসেবে অভিযোগকারী মোহাম্মদ ইয়াসিন ভূঁইয়াকে আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভোক্তা মোহাম্মদ ইয়াসিন ভূঁইয়া পেশায় একজন আইনজীবী। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি শহরের কালাইশ্রীপাড়া রোডে অবস্থিত আনাস গ্লাস স্টোর থেকে ১১ দশমিক ৪৮ বর্গফুট আয়তনের একটি কাচ কেনেন। প্রতি বর্গফুট কাচের মূল্য ১৬০ টাকা দরে গ্লাস কেনেন তিনি। সে হিসাবে ওই কাচের দাম হওয়ার কথা ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা। কিন্তু বিক্রেতা তাঁর কাছ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা আদায় করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। আজ সকাল ১০টার দিকে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি হয়।

ভোক্তা অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, বিবাদীর বক্তব্য অনুসারে, কাচ কেটে ফেলার পর অতিরিক্ত যে অংশ থাকে তার মূল্য তিনি ভোক্তার কাছ থেকে অতিরিক্ত গ্রহণ করেছেন। বিবাদীর এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় খরচ দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, অতিরিক্ত ব্যয়, সিস্টেম লস সবকিছুই সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণের বিষয়ে ভাউচারে অথবা কোথাও তিনি ভোক্তাকে অবগত করেননি। অভিযোগটি সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান মালিক তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ হিসেবে অভিযোগকারীকে আড়াই হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ