২০২৫ সালের সিমাগো র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েই দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১২তম হয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)। এ র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাংকিংয়ের এ তথ্য নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে পাবিপ্রবি।
র্যাঙ্কিংয়ের তথ্যানুসারে জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে স্পেনের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমাগো ইনস্টিটিউশন এ র্যাংকিং নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫ হাজার ৫১টি বিশ্ববিদ্যালয় এবারের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
র্যাংকিংয়ে এ বছরও বিশ্বসেরা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এবারই প্রথম সিমাগো র্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
তারা বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। সবাই একসঙ্গে নিয়মের মধ্যে কাজ করলে অতিদ্রুত এ প্রতিষ্ঠান দেশের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।
সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাংকিং মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণা কার্যক্রম, উদ্ভাবন এবং সামাজিক প্রভাব বিবেচনায় এনে মূল্যায়ন করে। এই র্যাংকিং নির্ধারণে প্রকাশনা সংখ্যা, সাইটেশন, গবেষণার গুণগত মান, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ইত্যাদির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম
বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বহুবার তোলপাড় করা বাবর আজম এবার অস্ট্রেলিয়ার জমজমাট বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) পা রাখতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন গুঞ্জনের পর অবশেষে এই পাকিস্তানি তারকাকে নিজেদের স্কোয়াডে টেনে নিয়েছে সিডনি সিক্সার্স। নতুন মৌসুমে (২০২৫) তাকে দেখা যাবে গোলাপি জার্সিতে।
এটাই বাবরের প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। সিডনি সিক্সার্সের সঙ্গে তার এই চুক্তিটি হয়েছে প্রি-সাইনিং অপশনের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি দল আন্তর্জাতিক ড্রাফট শুরুর আগেই একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারে। ১৯ জুন শুরু হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক ড্রাফটের আগেই সিক্সার্স বাবরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাবরের মতো বিশ্বমানের অভিজ্ঞ একজন টপ অর্ডার ব্যাটারকে পাওয়ার অর্থই হলো দলে গভীরতা ও ভারসাম্য বাড়ানো। এই তারকার সঙ্গে একই দলে থাকছেন স্টিভ স্মিথ, শন অ্যাবটের মতো অভিজ্ঞ অজি খেলোয়াড়রা, যা দলের শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
গত মৌসুমে একমাত্র সিডনি সিক্সার্সই ছিল এমন দল, যারা কোনো বিদেশি তারকাকে আগেভাগে দলে নেয়নি। এবার তারা সেই ঘাটতি পূরণ করল বাবরের মতো একজন ক্রিকেট সেনসেশনকে নিয়ে।
তবে বাবরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে তার জায়গা এখন অনিশ্চিত, ব্যাটেও অনুজ্জ্বল সময় কাটছে। তবু, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নতুন এই চ্যালেঞ্জ বাবরের জন্য এক নতুন দরজা খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
চুক্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাবর জানান, “এটা আমার জন্য দারুণ এক সুযোগ। বিগ ব্যাশ বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ এবং সিডনি সিক্সার্স একটি সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই দলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমি চাই দলের জয়ে অবদান রাখতে, ভক্তদের ভালোবাসা কুড়াতে এবং এই অভিজ্ঞতা আমার পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে।”
অস্ট্রেলিয়ায় বাবরের প্রথম আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানি ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। অনেকেই বলছেন, হয়তো এটাই সেই ‘নতুন শুরু’, যেটা বাবরের ক্যারিয়ার আবার উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।
ঢাকা/আমিনুল