জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সহযোগী আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে। একই সঙ্গে আগামী ১৮ মার্চ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো.

গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রোববার এ আদেশ দেন। এদিন সাবেক আইজিপি মামুন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
 
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নের ডান হাত ছিলেন সাবেক আইজিপি মামুন। এজন্য তাকে কৌশলগত কারণে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান আছে উল্লেখ করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের আশা ব্যক্ত করেন তিনি। 

অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালে আসামির পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজনিন নাহার।

পরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটা মামলা আছে। সেই মামলায় তিনি একাই আসামি ছিলেন। আজ তার সঙ্গে আসামি হিসেবে সাবেক আইজিপি মামুনকে যুক্ত করে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ফলে মামুন এখন এই মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সহআসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেন। 

মামুনকে ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আইজিপি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এর আগে তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পুলিশের সিআইডি প্রধান ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছর ৭ আগস্ট তাকে এক বিশেষ পরিস্থিতিতে অবসরে পাঠানো হয়। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ৪ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যা, গুমসহ নানা অপরাধের অভিযোগে এ পর্যন্ত মামুনের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, সাভারের আসহাবুল ইয়ামিন হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা সায়েদুর রহমান সুজন, মিজানুর রহমান, জাকির হোসেনকে ১৮ মে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব ক আইজ প অপর ধ র ক ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। 

আজ বুধবার ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’

ফিলিস্তিন সংকট সমাধান: সবার দৃষ্টি জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুর্নব্যক্ত করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। 

গাজা পুনর্গঠনে আরব পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তত রয়েছে। তিনি গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাধা দেয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা সর্বাত্বকভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর হতে গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি আক্রমণের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ এবং একটি স্থায়ী সমাধানের পথ সুগম করতে জাতিসংঘের সদস্যদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার জন্য ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘জাতিসংঘ হাইলেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু-স্টেট সল্যুশন’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশসহ ১১৮টি দেশের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০ হাজার ছাড়াল
  • গণহত্যার বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি রেজাউল করীমের