দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক ড্রোন-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ
Published: 17th, March 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উত্তরের বিমানঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর একটি নজরদারি ড্রোনের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
কোরিয়া টাইমসের খবর অনুসারে, ইসরায়েলে তৈরি হেরন ড্রোনটি সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ইয়াংজু সেনা ঘাঁটিতে অবতরণের চেষ্টা করার সময় সংঘর্ষটি ঘটে। যার ফলে আগুন ধরে যায়। তবে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয় বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। তবে নজরদারি ড্রোন এবং হেলিকপ্টারটি আগুনে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
বেসামরিক এলাকায় ভুলবশত বোমা ফেলল দ.
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে সামরিক বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে।
একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, সেখানে জিপিএস সিগন্যাল আটকানোর উত্তর কোরিয়ার কোনো প্রচেষ্টা শনাক্ত হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী পশ্চিম উপকূল এবং অন্যান্য এলাকায় উত্তর কোরিয়ার আর্টিলারি ব্যবস্থায় নজরদারির জন্য ২০১৬ সাল থেকে ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি হেরন ড্রোন ব্যবহার করছে।
এই দুর্ঘটনা এমন সময়ে ঘটলো, যখন দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সঙ্গে তাদের প্রধান বার্ষিক বসন্তকালীন মহড়া পরিচালনা করছে। ১১ দিনের মহড়াটি আগামী বৃহস্পতিবার শেষ হতে চলেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’