যশোরের কেশবপুরে অভিনব কৌশলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে পৌর শহরের প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মো. রায়হান আল মাহমুদ। তাঁর বাড়ি কেশবপুর পৌরসভার বাজিতপুর গ্রামে। তিনি আলতাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে বাড়ি থেকে একটি ব্যাগে তিন লাখ টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা রাখতে মোটরসাইকেলে পৌর শহরের প্রধান সড়কের একটি শোরুমের সামনে দাঁড়ান শিক্ষক রায়হান আল মাহমুদ। মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে টাকার ব্যাগটি ঝোলানো ছিল। এ সময় এক ছিনতাইকারী তাঁর মোটরসাইকেলের পাশে কয়েকটি দুই ও পাঁচ টাকার নোট ছড়িয়ে দিয়ে বলে, ‘আপনার টাকা পড়ে গেছে।’ তখন ওই শিক্ষক নিজের প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে তাঁর টাকা পড়েছে কি না দেখতে থাকেন। এই সুযোগে ছিনতাইকারী শিক্ষকের মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে রাখা টাকার ব্যাগটি নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, ঈদের আগে এ ধরনের প্রতারক চক্র শহরে ঘোরাঘুরি করছে। তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাঁদের ধারণা।

যোগাযোগ করলে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাটি শোনেননি। ঈদের আগে প্রতারক চক্রের হাতে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সে জন্য পুলিশের একটি দল শহরে টহল দিচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ