বিজ্ঞানীরা এনাইপোশা নামের নতুন একটি গ্রহের খোঁজ পেয়েছেন। ৪৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই গ্রহের ঘন বায়ুমণ্ডল রয়েছে। এতে মিথেন ও কার্বন ডাই–অক্সাইডের মতো গ্যাস রয়েছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এনাইপোশা গ্রহের বিবর্তন ও বায়ুমণ্ডলীয় রসায়ন গ্রহের বিবর্তন সম্পর্কে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা গ্রহটিকে মিনি–নেপচুন হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার পক্ষে ছিলেন। পৃথিবী থেকে ৪৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত রহস্যময় এই গ্রহের মূল নাম জিজে ১২১৪ বি। শ্রেণিকরণের জন্য গ্রহটিকে সুপার–ভেনাসের বা শুক্র গ্রহের কাতারে রাখতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধারণ করা ছবির তথ্যমতে, গ্রহটিতে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, মিথেন ও কার্বন ডাই–অক্সাইডের মতো গ্যাসে পূর্ণ ঘন বায়ুমণ্ডল থাকতে পারে। আর তাই রহস্যময় গ্রহটিকে নতুন একটি শ্রেণিতে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এনাইপোশা সাধারণ কোনো গ্রহ নয়। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল গ্রহটি নেপচুনের মতো। তবে এনাইপোশা গ্রহটি ঘন বায়ুমণ্ডলের জন্য বেশ রহস্যময়। কারণ, ভারী কুয়াশা ও অ্যারোসল থাকার কারণে গ্রহটির বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণ করা কঠিন। শুক্র গ্রহের মেঘ রয়েছে, যার কারণে গ্রহটির পৃষ্ঠের ছবি দেখা যায় না। এনাইপোশার বায়ুমণ্ডল তেমনই কুয়াশাচ্ছন্ন।

গ্রহটিতে কার্বন ডাই–অক্সাইড ও মিথেনের মতো জটিল গ্যাস রয়েছে। যে কারণে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ‘এই গ্রহ মিনি–নেপচুন শ্রেণির হবে না, সুপার–ভেনাসের মতো হতে পারে। আর তাই আমাদের সৌরজগতের সীমানার বাইরে থাকা বিভিন্ন গ্রহের শ্রেণিবিন্যাস নতুন করে তৈরি করতে হতে পারে।’

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ