সখীপুরে স্বামীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
Published: 5th, April 2025 GMT
টাঙ্গাইলের সখীপুরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কালিয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে (২৫) গ্রেপ্তার করে।
নিহত ব্যক্তির নাম জুয়েল রানা (৩২)। তিনি ওই গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। জুয়েল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা মজনু মিয়া বাদী হয়ে আজ শনিবার সকালে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত জুয়েল আনুমানিক ১৪ বছর আগে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর গ্রামের তাইজুদ্দিনের মেয়ে তানিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। তাঁদের এক মেয়ে ও দুই ছেলে আছে।
প্রতিবেশীদের ভাষ্য, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। গতকাল গভীর রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী তানিয়া একটি লাঠি দিয়ে জুয়েল রানার মাথায় আঘাত করেন। এতে জুয়েল নিস্তেজ হয়ে পড়লে তানিয়া দিবাগত রাত একটার দিকে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। প্রতিবেশীরা জুয়েলকে মৃত অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেন।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিবাস চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে আটক করে থানাহেফাজতে নেওয়া হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে মাথায় তিনটি আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার তানিয়াকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।