তারাকান্দি থেকে ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেও নির্ধারিত আসন খুঁজে না পেয়ে ট্রেনে দাঁড়িয়ে আসা ৫ যাত্রী তাদের টাকা ফেরত পাচ্ছেন। যাত্রীরা ঢাকা স্টেশনে এসে যোগাযোগ করে তাদের টাকা ফেরত নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি থেকে ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৬) ট্রেনের প্রথম শ্রেণির ‘গ’ নম্বর কোচের আসন বিক্রি করা হয়েছিল ৫৫টি। কিন্তু ওই ট্রেনের ‘গ’ নম্বর কোচে ওঠার পর ৫১-৫৫ নম্বর আসনের যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত আসন খুঁজে পাননি। পরে বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে তারা সারা রাত দাঁড়িয়ে ঢাকায় এসেছেন।  

ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশন থেকে রবিবার রাত ২টায় ছেড়ে সকাল ৮টায় কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোর কথা থাকলেও পৌঁছায় সকাল পৌনে ১১টায়। গন্তব্যে পৌঁছাতে ট্রেনটি ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্ব করে।

ট্রেন থেকে নেমে ভুক্তভোগী যাত্রীরা তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে টিকিটের ছবি দিয়ে যান। স্টেশন মাস্টার বিষয়টি ঢাকায় জানিয়েছিলেন।

যাত্রীর অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো.

আফজাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি যাত্রীদের টিকিট ঠিক ছিলো। টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল গত ২৭ মার্চ। ঈদ যাত্রার মধ্যে কোচ ডেমেজ হওয়ায় রিপ্লেস কোচ দেওয়া হয়েছিল। ফলে এমন ঘটনা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, আমরা তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এজন্য ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। যাত্রীরা ঢাকা স্টেশনে এসে যোগাযোগ করে তাদের টাকা ফেরত নিতে পারবেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ