২০২৪ সালে ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর: অ্যামনেস্টি
Published: 8th, April 2025 GMT
বিশ্বজুড়ে প্রায় এক দশকের মধ্যে গত বছর জ্ঞাত তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে ইরান, ইরাক এবং সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। আজ মঙ্গলবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাটি মৃত্যুদণ্ডবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী মোট ১ হাজার ৫১৮ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা ২০১৫ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ এবং ২০২৩ সালের তুলনায় ৩২ শতাংশ বেশি।
অ্যামনেস্টি বলেছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ দেশ চীনে। দেশটির পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া এবং ভিয়েতনামে কার্যকর হওয়া হাজার হাজার মৃত্যুদণ্ড এ প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, ‘মৃত্যুদণ্ড একটি জঘন্য অপরাধ। আজকের বিশ্বে এটির কোনো স্থান নেই।’
বেসরকারি সংস্থাটি বলেছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা বাড়লেও কার্যকরকারী দেশের সংখ্যা টানা দ্বিতীয় বছরের মতো কমে রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায় ১৫টিতে নেমেছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কার্যকর হওয়া মৃত্যুদণ্ডের ৯১ শতাংশের হয়েছে ইরান, ইরাক ও সৌদি আরব। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে এ তিন দেশ। অনেক দেশ হাজার হাজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য গোপন করলেও আমাদের বিশ্বাস, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেশের সংখ্যা অনেক কমেছে।
গত বছর কেবল ইরানেই ৬৪ শতাংশ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ওই বছর কমপক্ষে ৯৭২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটি, যা আগের বছরের তুলনায় ১০০ জনের বেশি।
অ্যামনেস্টির তথ্যমতে, সৌদি আরব শিরশ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। দেশটিতে বার্ষিক মোট মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ১৭২ থেকে দ্বিগুণ হয়ে কমপক্ষে ৩৪৫টিতে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ইরাকে মৃত্যুদণ্ড প্রায় চারগুণ বেড়েছে। সেখানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মানুষের সংখ্যা ১৬ থেকে বেড়ে ৬৩–তে উন্নীত হয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীটি বলেছে, কিছু দেশ বিক্ষোভকারী এবং জাতিগত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
গোষ্ঠীটি আরও জানায়, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য মন স ট র যকর হ
এছাড়াও পড়ুন:
জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
একাডেমিক মান ও উদ্ভাবনী গবেষণার জন্য জার্মানি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা প্রকার সুযোগ প্রদান করে। জার্মানির অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর নানা প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি নেয় না। সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে এগিয়ে আছে জার্মানি।
অনেক টাকা খরচ ছাড়াই উচ্চমানের শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। এখন ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে শিক্ষা প্রদানকারী শীর্ষ ১০টি জার্মান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—
আরও পড়ুনইংল্যান্ডে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ, আইইএলটিএসে ৬.৫ স্কোর হলে আবেদন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪১. টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ (টিইউএম)
২০২৪ সালের কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪১তম অবস্থানে আছে। টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর জোর দেওয়ার জন্য অন্যতম বিখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটি। শিক্ষার্থীদের অত্যাধুনিক গবেষণা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের পথ নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
হাইলাইট:
বিস্তৃত পরিসরে শেখানো হয় ইংরেজি প্রোগ্রাম
বড় বড় শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্সের খোঁজ মিলবে এ।
আরও পড়ুনফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আইইএলটিএস-টোয়েফল দরকার, বৃত্তিসহ আছে নানা সুযোগ, সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা কাজ১৪ আগস্ট ২০২৪২. লুডভিগ মাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি, (এলএমইউ মিউনিখ)
২০২৪ সালের কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৬০তম অবস্থানে আছে। এলএমইউ মিউনিখ মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, ন্যাচারাল সায়েন্স, মেডিসিনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য পরিচিত। উচ্চ একাডেমিক মান ও গবেষণার জন্য পরিচিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
হাইলাইট:
ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রাম
উচ্চ মানের গবেষণার সুবিধা
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্সের খোঁজ মিলবে ।
৩. হাইডেলব্যর্গ বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৪ সালের কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩তম অবস্থানে আছে। জার্মানির প্রাচীনতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে মানবিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে।
হাইলাইট:
সমৃদ্ধ একাডেমিক ঐতিহ্য
ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্স সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
জার্মানির অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি নেয় না