ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণের সময় ‘আরবি বিভাগ’ দিতে গিয়ে অনেকে জটিলতায় পড়েছিলেন। এই শিক্ষার্থীরা শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আজ মঙ্গলবার থেকে বিষয় পছন্দক্রমে আরবি দিতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওয়েবসাইটের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে উত্তীর্ণ যেসব শিক্ষার্থীর “আরবি” বিষয়ের জন্য যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভর্তিযোগ্য বিষয়ের মধ্যে “আরবি” বিষয়টি নেই, তাঁদের অনুগ্রহ করে ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে বিষয় পছন্দক্রম প্রদানের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। যাঁরা ইতিমধ্যে আরবি ব্যতীত বিষয় পছন্দক্রম পূরণ করে ফেলেছেন, তাঁদের নতুন নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুনতুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ, সম্পূর্ণ টিউশন ফি–মাসিক উপবৃত্তি–আবাসন–স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা ৪ ঘণ্টা আগে

অন্য এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থীর অনেক বেশিসংখ্যক বিষয়ে ভর্তির যোগ্যতা রয়েছে, তাঁদের অনেকের অনলাইনে বিষয়ের পছন্দক্রম প্রদানের সময় দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। এতে তাঁদের কারও কারও ক্ষেত্রে সেশন টাইমডআউট হয়ে যাচ্ছে এবং পুনরায় প্রথম থেকে সব কাজ করতে হচ্ছে। এ অবস্থা এড়াতে শিক্ষার্থীদের প্রথমে বাঁ দিকের মেনু থেকে ‘ভর্তিযোগ্য বিষয়সমূহ’ ক্লিক করে ভর্তিযোগ্য বিষয়ের তালিকা ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। প্রিন্ট করার পর তাতে পেনসিলে ক্রম আগে থেকে লিখে নিয়ে তারপর সে মোতাবেক বিষয়ের পছন্দক্রম অনলাইনে বাছাই করা হলে কম সময়ে তা করা যাবে।

আগের বার্তায় বলা হয়েছে, বিস্তারিত ফরম এবং বিষয় পছন্দক্রমের সর্বশেষ ধাপে মুঠোফোন যাচাইয়ের সময়ে কোনো একটি অপারেটরের মুঠোফোন নম্বর থেকে যথাসময়ে ফিরতি এসএমএস না পাওয়া গেলে অন্য একটি অপারেটরের মাধ্যমে পুনরায় চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। টেলিটক, বাংলালিংক ও গ্রামীণফোন অপারেটরের নম্বর থেকে (তুলনামূলকভাবে) যথাসময়ে ফিরতি এসএমএস মুঠোফোনে পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবোটিকসে মাস্টার্স, জিপিএ ৩.

২৫ হলে করুন আবেদন২ ঘণ্টা আগে

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ব্যতীত অন্য সব ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির বিষয়ের পছন্দক্রম পূরণ করার সর্বশেষ তারিখ ১৬ এপ্রিল। শিক্ষার্থীদের পূরণ করা বিষয়ের পছন্দক্রম ও শিক্ষার্থীদের সব ইউনিটের মেধাক্রম পর্যালোচনা করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয় বরাদ্দ প্রদান করা হবে।

* বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা