সিলেটে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বুধবার নগরের হাসান মার্কেট এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।

আজ দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বন্দরবাজার এলাকার এ মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বের করা বিক্ষোভ মিছিল থেকে নগরের ১৩টি দোকান-রেস্তোরাঁ, সুপারশপ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে লুটপাটও করা হয়। গত সোমবার বিকেল চারটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এসব হামলা-লুটপাট চলে।

হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ১৯৫৯ সালে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হাসান মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতি। বিপণিবিতানের ১ নম্বর গেটের সামনে এ সময় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিতে সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুনসিলেটে বিক্ষোভ থেকে আবাসিক হোটেলে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা১৭ ঘণ্টা আগে

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতি বিপণিবিতানের কার্যালয়ে এক জরুরি সভা করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রইছ আলী। সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো.

আজিজুল করিম সভা সঞ্চালনা করেন। সভা শেষে মার্কেট ও বন্দরবাজার এলাকায় আজকের কর্মসূচি সফলে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

জরুরি সভায় বক্তব্য দেন সমিতির সহসভাপতি আক্তার হোসেন (সুহেল), সহসাধারণ সম্পাদক সাহেদ বকস, আজিজুল মকসুদ তালহা, দপ্তর সম্পাদক মঞ্জুর আহমদ, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ মোরাদ হোসেন, সদস্য নুরুল ইসলাম, রিন্টু চক্রবর্তী, মাহবুব আলম, সমিতির উপদেষ্টা আজমল হোসেন চৌধুরী, হাসান মার্কেট বাহির লাইন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ময়না মিয়া প্রমুখ।

আরও পড়ুনফেসবুকে জুতা বিক্রির পোস্ট, সিলেটে যুবক আটক২০ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ক ন ম ল ক ও ব যবস য় ল টপ ট নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়াল

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (১১ জুন) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ১২৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৭৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৫ হাজার ১০৪ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯৪ জনে পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

আরো পড়ুন:

গাজা নীতির বিরোধিতাকারী পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে বলল যুক্তরাজ্য

গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধ ‘লজ্জাজনক কেলেঙ্কারি’: ম্যাক্রোঁ

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। 

দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

অব্যাহত হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক অবরোধ আরোপ করেছে, যার ফলে এর জনসংখ্যা, বিশেষ করে উত্তর গাজার বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, ভালো উদ্যোগ নিলেও বিরোধিতা আসে
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • তেহরানে ইসরায়েলের বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
  • চার শতাধিক লেখক গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন
  • গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়াল