ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ইবিতে শাটডাউন কর্মসূচি
Published: 9th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে সর্বাত্মক শাটডাউন কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ১ ঘণ্টা শাটডাউন কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একই সময়ে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্ত্বরে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাংগীর আলম ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মনজুরুল হকসহ বিভিন্ন শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরো পড়ুন:
গাজায় গণহত্যা: প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইবি শিক্ষার্থীর
গাজায় হামলা: বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটে সাড়া ইবি শিক্ষার্থীদের
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “ইসরাইল নামে অবৈধ রাষ্ট্র যেভাবে নির্যাতন ও বর্বরতা প্রদর্শন করছে, ইতিহাসে এমন নজীর নেই। আজকের এই হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক বিশ্বের শুধু সাধারণ মানুষ ও ছাত্ররা প্রতিবাদ করছে। কিন্তু রাষ্ট্র নায়কেরা প্রতিবাদ করছে না।”
তিনি রাষ্ট্রনায়কদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “প্যালেস্টাইনকে রক্ষা করা, মানবতাকে রক্ষা করা শুধু মুসলমানদের দায়িত্ব না, এটা মানুষ হিসেবে সবার দায়িত্ব। ইসরাইল শুধু প্যালেস্টাইনের শত্রু না, পুরো মানবতার শত্রু। আমি আরব বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে যৌথভাবে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ, ইসলামী আদর্শের শিক্ষকদের সংগঠন গ্রিন ফোরাম, ইউট্যাব ও জিয়া পরিদষ কর্মকর্তা ইউনিট।
এতে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খাঁন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, গ্রিন ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদ মোহাম্মদ রেজওয়ান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে’ আগামী ২ মে (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দল এনসিপি।
সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি করা প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের সাতটি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে এনসিপি। এগুলো হলো ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ দমনের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড; গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহরণ; ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ; লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচার; ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চালানো নজিরবিহীন গণহত্যা।
এরপর চারটি দাবিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারপত্রে। এগুলো হলো প্রতিটি অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থা; আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা তথা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল; বিচার চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হতে পারে। এই সমাবেশে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মশালমিছিল করছে এনসিপি। এর ধারাবাহিকতায় এবার কিছুটা বড় পরিসরে ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে সমাবেশ হতে যাচ্ছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগরের থানা পর্যায়ে কিছুদিন ধরে এনসিপির যে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, এগুলোরই চূড়ান্ত সমাবেশটা হবে আগামী ২ মে।