ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতে তাইওয়ানের স্বস্তি
Published: 10th, April 2025 GMT
বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে স্বস্তির নিশ্বাস নেওয়া পাশাপাশি তাইওয়ান এ সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লাং এ আশা ব্যক্ত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী বড় আকারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। গতকাল বুধবার থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
তবে গতকালই নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে পাল্টা শুল্ক আরোপ কার্যকর হওয়ার বিষয়টি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। আর চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
ট্রাম্প তাইওয়ানের ওপর ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। যদিও তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে শুল্কের আওতামুক্ত রাখা হয়; এরপরও সেখানে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নেমেছিল।
আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন পার্লামেন্টে সাংবাদিকদের বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ক্রয় ও সেখানে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য–উদ্বৃত্ত কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাইওয়ানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন আরও বলেন, ‘এখন আমাদের হাতে বাড়তি ৯০ দিন আছে। আমরা এই সময়ে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আরও বিস্তৃত ও গভীরভাবে আলোচনা করতে পারব। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বাজারের সুবিধা গ্রহণ করতে পারার বিষয়ে আশাবাদী।’
এর আগে গত রোববার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেছিলেন, তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শূন্য শুল্ক–সুবিধা চাইবে এবং তাইপে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে না।
আরও পড়ুনপাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেন ট্রাম্প, এ সময় এই শুল্ক থাকছে ১০ শতাংশ১৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প ত ইওয় ন র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সই
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর দেশ দুটি একটি চুক্তিতে সই করেছে। এর ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে।
গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ চুক্তি সই হয়। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোর দরকষাকষি করে দুই দেশ। চুক্তি সই হওয়ার ব্যাপারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু অনিশ্চয়তা থাকলেও অবশেষে এটি সম্পন্ন হয়।
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।
চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ প্রতিষ্ঠা রাশিয়ার প্রতি একটি বার্তা যে, ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদে এক স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন গড়ার শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার এ ভাবনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের; যা একটি টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিই প্রতিফলিত করে।’
‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না’, বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।
ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।
ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলে’ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে এবং কিয়েভ তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাওয়া রাজস্বের ৫০ শতাংশ তহবিলে দেবে।
স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না।স্কট বেসেন্ট, মার্কিন অর্থমন্ত্রীমন্ত্রণালয় আরও জানায়, তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ প্রথম ১০ বছর শুধু ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে, এরপর ‘লাভ অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে’। তহবিলে দুপক্ষের সমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ চুক্তি শুধু ভবিষ্যতের মার্কিন সামরিক সহায়তায় নজর দেব, অতীতের সহায়তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।
ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, ‘আমরা শুধু বিনিয়োগই পেতে যাচ্ছি না; বরং এমন একটি কৌশলগত অংশীদারকেও পাচ্ছি, যারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল ভ্যাটিকান সিটিতে