ছাত্রদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিয়ে প্রতিদিনই খবর বের হচ্ছে। কিছু খবর খুবই নেতিবাচক, যেমন ১০০ গাড়ির বহর নিয়ে একজন ২৭ বছরের যুবকের পথ পরিক্রমণ।

আবার এনসিপির মধ্য থেকেই একজন জবাবদিহির জন্য প্রশ্ন করেছেন, কেন এই ১০০ গাড়িবহর? কেউ কেউ এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
এসব ইতিবাচক–নেতিবাচক খবরের পরও এই অল্পবয়স্ক নতুন রাজনীতিকেরা চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক ঝানুদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পার্টির পরিসর বাড়াতে এবং প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠিত দলগুলোকে ভোটযুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে।

দলকে বড় করার অংশ হিসেবে তারা সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব উইং গঠন করা হবে। খবরে বলা হয়েছে, যুবসমাজকে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত করে রাষ্ট্র পুনর্গঠনমূলক কাজে তাদের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব উইং গঠনের জন্য প্রস্তুতিবিষয়ক উপকমিটি গঠিত হয়েছে।

আমার একটু আশ্চর্য লাগছে, এনসিপির কেন প্রয়োজন যুব শাখা গঠনের? তারা তো নিজেরাই যুবক, নিজেরাই তরুণ। এনসিপি তো জন্মই নিয়েছে দেশের তরুণ-যুবকদের জন্য একটা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠন করতে। তারা যদি একটা ‘বয়োবৃদ্ধ ফ্রন্ট’ করত, তাহলে আমি কারণটা হয়তো বুঝতাম।

আপনি অবশ্য বলতে পারেন, আওয়ামী লীগের যুবলীগ ছিল, বিএনপিরও যুবদল আছে, জামায়াতেরও আছে সব ধরনের অঙ্গসংগঠন, তাহলে এনসিপির যুব ফ্রন্ট থাকবে না কেন? অবশ্যই থাকতে পারে, আইনগত কোনো বাধা নেই।

আমাদের দেশে প্রচলিত রীতি, একটা জাতীয় দল গড়তে হলে অঙ্গসংগঠন লাগবেই। বিএনপির আছে যুবদল, মহিলা দল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, ওলামা দল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল, আইনজীবী ফোরাম, চিকিৎসকদের ড্যাব, সংস্কৃতি দল ইত্যাদি—এনসিপিরও লাগবে এসব অঙ্গসংগঠন।

অঙ্গসংগঠনের অফিস লাগবে, নেতাদের জন্য গাড়ি লাগবে এবং গাড়ির জন্য পেট্রল কিনতে হবে। এগুলোর সবই করা যাবে। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছেন এসব অঙ্গসংগঠনের কী প্রয়োজন? হয়তো অঙ্গসংগঠন ছাড়াই ভালো দল গড়া বা দল চালানো সহজতর হবে!

গত কিছুদিনের আংশিক কিছু সংবাদ, আমরা একটু দেখি: ১.

সন্দ্বীপে বিএনপি-যুবদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৩। ২. উপদেষ্টা মাহফুজের বাবার ওপর ছাত্রদলের হামলা! ৩. আধিপত্য বিস্তারে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের সংঘর্ষ, আহত ১০। ৪. ব্যক্তিগত বিরোধে যুবদল-শ্রমিক দলের সংঘর্ষ, অফিস ভাঙচুর। ৫. চট্টগ্রামে যুবদল-ছাত্রদল সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, আহত আরও ৩। ৬. রূপগঞ্জে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ, গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত।

এ ধরনের ঘটনা শুধু বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোতে হয়, তা বললে বিএনপির প্রতি অত্যন্ত অন্যায় করা হবে। আওয়ামী লীগের রাজত্বে তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোতে আরও বেশি হানাহানি হতো। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সব অঙ্গ সংগঠন যদি দাঁড়িয়ে যায়, তাদের মধ্যেও হানাহানি হবে। মূল দলের নেতারা, যাঁরা দলের সুন্দর ইমেজ গড়ে তুলতে সারাক্ষণ আপ্রাণ কাজ করছেন, তাঁরা যে এসব খবর পছন্দ করেন, তা অবশ্যই নয়। তাঁরা এসব খবর পত্রিকায় দেখতে চান না, হয়তো এসব ঘটনা ঘটুক, তা–ও চান না। কিন্তু তাঁদের করার কিছু নেই। তাঁরা থামাতে পারছেন না, থামাতে পারবেনও না। যাঁরা রাক্ষস ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের গল্প পড়েছেন, তাঁরা জানেন ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে বানানো সহজ, কিন্তু তাকে সামলানো সহজ নয়, সে সবকিছু তছনছ করে ফেলে।

এসব অঙ্গসংগঠনের কাজ কী? বিএনপির চার্টারে লেখা আছে,
দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করাই হবে অঙ্গসংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্য এবং এ উদ্দেশ্যে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দলের প্রভাব বিস্তার কিংবা দলের নীতির প্রসার করার উদ্দেশ্যে এ সংগঠন তাদের নিজস্ব কর্মসূচি প্রণয়ন করবে। এখানে মূল কথা হলো ‘প্রভাব বিস্তার’। দলের জন্য প্রভাব বিস্তার, নিজের প্রভাব বিস্তার, নিজের সমর্থকদের জন্য প্রভাব বিস্তার—এসব নিত্যনৈমিত্তিক ঘটছে। যেখানে প্রভাব বিস্তারই মূল লক্ষ্য, সেখানে হানাহানি মারামারি থাকবেই।

রাজনৈতিক দলগুলোর যে দুটি অঙ্গসংগঠন দলের ইমেজের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে, তারা হলো যুব ও স্বেচ্ছাসেবক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। দলের জন্য এদের অবদানও কম নয়। প্রতিদ্বন্দ্বীদের সভা–সমিতিতে আক্রমণ, নির্বাচনে ব্যালটে সিল মারা, দলের জন্য পেশাজীবী হিসেবে কাজ করা, এসব প্রয়োজন থাকলে তাদের ডাক পড়ে। কিন্তু আমরা যখন রাজনীতির সংস্কারের কথা বলছি, গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের কথা বলছি, তখন এসব সার্ভিস দলগুলোর জন্য এত জরুরি না–ও হতে পারে।

একটা জাতীয় দল, দেশের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মধ্যেই তাদের কাজ থাকবে, ভৌগোলিক পরিমণ্ডলেই তাদের সমর্থকেরা কাজ করবে সেখানকার কৃষক, তাঁতি, যুবক, মহিলা সবাইকে নিয়ে। একটা দলকে পেশাভিত্তিক ও পেশিভিত্তিক যেসব অঙ্গসংগঠন করে বিভাজন করা হয়, তার পরিণাম আমরা এখন দেখছি।

অঙ্গসংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে সংঘাত করছে, অন্য দলের অঙ্গসংগঠনগুলোর সঙ্গে সংঘাত করছে। মূল দলের সঙ্গে সংঘাত করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই হানাহানি চলে ‘নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে—এলাকার নিয়ন্ত্রণ, দখলদারির নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ, দলের নিয়ন্ত্রণ আরও কত কী! কিন্তু সব নিয়ন্ত্রণের মূলে থাকে আর্থিক সুবিধা অর্জন। যে উদ্দেশ্যে এসব অঙ্গ দল করা হয়েছিল, ‘দলের প্রভাব বাড়ানোর’ শেষ পর্যন্ত সে চেষ্টা পর্যবসিত হয় ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত প্রভাব বাড়ানোর দ্বন্দ্বে।

যে বয়সে তরুণেরা কর্মজীবনে সফলতা পেতে কাজ করতে শুরু করেন, রাজনৈতিক দলগুলো অঙ্গসংগঠনের জালে ওই বয়সের বিপুলসংখ্যক তরুণকে সার্বক্ষণিক দলীয় কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ফেলে। তরুণ কর্মীদের যুব সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা, কৃষক সংস্থা—এসব অঙ্গসংগঠন ব্যবস্থায় জড়িয়ে অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের উপার্জনের উৎসকে দলবদ্ধ অনিয়মতান্ত্রিক কার্যকলাপ নির্ভর করে ফেলে।

দুঃখজনক হলেও সত্য, বিগত দিনে এই তরুণদের অনেকেই রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে তাঁদের জীবিকার ব্যবস্থা করেছেন। বেছে নিয়েছেন চাঁদাবাজি, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, দোকান দখল, হাট-ঘাট দখল ইত্যাদি কাজকে। রাজনৈতিক দলগুলোর স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলোকে কোনো স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে কখনো দেখা যায়নি কোনো দিন। ঢাকায় অনেক কৃষক সম্মেলন হয়, যেখানে স্যুট-কোট বা ধবধবে কাপড় পরে অ-কৃষক লোকজন কৃষক সাজেন।

রাজনৈতিক দলগুলো যদি এসব যুব, স্বেচ্ছাসেবক, কৃষক ইত্যাদি অঙ্গসংগঠন পরিহার করে, তাহলে তরুণদের অনিয়মতান্ত্রিক কাজকর্ম অনেক কমে যাবে। যুবকদের কর্মক্ষমতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বাড়বে। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ার বাইরে বিশৃঙ্খল যুবকদের শায়েস্তা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসবে।

এই তরুণদের তাঁদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কর্মসংস্থান করতে হবে। তরুণ সমাজ অবশ্যই রাজনীতি সচেতন থাকবে এবং নিজের দায়িত্বে রাজনীতি করবে, কিন্তু কোনোভাবেই রাজনীতিকে উপার্জনের উৎস হিসেবে বেছে নেবে না। যেসব তরুণ নিজ দায়িত্বে রাজনীতি করতে চান, তাঁদের জন্য দলীয় দরজা খোলা থাকবে, মূল দলের পক্ষে তাঁদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজতর হবে।

নতুন পরিস্থিতিতে ছাত্ররা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতি করবেন কি না, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। এ বিষয়টা ছাত্রদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হোক। ছাত্রদের বিরাট একটা অংশ চাচ্ছে শুধু ছাত্র সংসদভিত্তিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাত্ররাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা পরিহার করতে হবে। বিগত আন্দোলনে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়েছে, ছাত্ররা রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি না করেও দেশের রাজনীতি এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তনে সহায়তা করতে পারেন।

আমাদের দেশ ও সমাজের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও পেশা এখন আনুষ্ঠানিক বা আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় সমর্থকদের বিভাজনে বিভক্ত। প্রশাসন, ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ার, লেখক, গায়ক-নায়ক কেউই এর এর বাইরে নন। এই বিভাজন সমাজের প্রতিটি স্তরেই বিভেদের সৃষ্টি করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর যে দুটি অঙ্গসংগঠন দলের ইমেজের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে, তারা হলো যুব ও স্বেচ্ছাসেবক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। দলের জন্য এদের অবদানও কম নয়। প্রতিদ্বন্দ্বীদের সভা–সমিতিতে আক্রমণ, নির্বাচনে ব্যালটে সিল মারা, দলের জন্য পেশাজীবী হিসেবে কাজ করা, এসব প্রয়োজন থাকলে তাদের ডাক পড়ে। কিন্তু আমরা যখন রাজনীতির সংস্কারের কথা বলছি, গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের কথা বলছি, তখন এসব সার্ভিস দলগুলোর জন্য এত জরুরি না–ও হতে পারে।

দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই উপলব্ধি থেকে অঙ্গসংগঠনগুলোকে আপাতত স্থগিত রাখে, তাহলে আমাদের দেশে হানাহানি মারামারি অনেক কমে যাবে। রাজনীতির পরিবেশ অনেক সুস্থ হবে। দলগুলোর পক্ষে মূল দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করাও সহজতর হবে। রাজনৈতিক দলগুলো চেষ্টা করে দেখতে পারে। জনাব তারেক রহমানের দুই লাইনের একটা চিঠিতেই বিএনপির অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো স্থগিত হতে পারে; তিনি বলতে পারেন, তোমরা সবাই এখন মূল বিএনপিতে কাজ করো, অঙ্গসংগঠনের দরকার নেই। নাহিদও অঙ্গসংগঠন বাড়ানোর কাজ স্থগিত রেখে মূল দলের কাজে ফিরে যেতে পারেন, তাঁকে আর নতুন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন তৈরি করতে হবে না।

যুবকেরা চাকরি করবেন, ব্যবসা করবেন, ইচ্ছা হলে রাজনীতিও করবেন; তাদেরকে চাঁদা ও দখলদারি করে সংসার চালাতে হবে না। চিকিৎসকেরাও ড্যাব, স্বাচিপ ও এনডিএফ বাদ দিয়ে চিকিৎসার কাজে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। বিএনপিপন্থী সাংবাদিক বা এনসিপিপন্থী সাংবাদিক থাকবে না, আমরা পাব নিরপেক্ষ সংবাদ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা, লাল, নীল জামা পরে হাতাহাতি করতে হবে না। মৎস্যজীবীরা মাছ ধরবেন, কৃষকেরা চষাবাদ করবেন।
সর্বত্রই কী যে সুন্দর একটা পরিবেশ!

সালেহ উদ্দিন আহমদ শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
[email protected]

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব চ ছ স বক র জন ত র ল র জন য ন র জন ত দ বন দ ব ম ল দল র দ র জন য ই র জন ত র জন য প ব এনপ র দলগ ল র এনস প র ক জ কর দল র স অন ক ক স ঘর ষ আম দ র য বদল করব ন অবশ য ন এসব ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

জমি অন্যের, স্থাপনা বিএনপি নেতার

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চরবানিয়াল মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দু’জন হলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা গোলাম মর্তুজা সরকার এবং তাঁর ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বাবু। 

গতকাল বুধবার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে গিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ চালু রাখার সত্যতা পেয়েছে সদর থানা পুলিশ।

জানা গেছে, বাংলাবাজারের চরবানিয়াল মৌজায় ১৮৬ শতাংশ জায়গার মালিক দেলোয়ার হোসেন গং। ওই সম্পত্তির দখল নিয়ে বিএনপি নেতা মর্তুজা ও মোয়াজ্জেম পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। এতে আদালতের দ্বারস্থ হন দেলোয়ার। গত মঙ্গলবার সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সেখানে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। কিন্তু বিএনপির দুই নেতা বুধবার সকাল থেকে পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, পৈতৃক সূত্রে তিনি এ জায়গার মালিক। এর মধ্যে তাঁর শরিকের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ জমি কিনেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা। অথচ তাঁর সম্পত্তিতে তারা জোর করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। গোলাম মর্তুজার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এ নির্মাণকাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বাবু বলেন, জায়গাটির মালিক তারা। ১৭ বছর ধরে তারা এ জায়গা ভোগ দখল করছেন। তাই তারা এ জমিতে দোকানপাট নির্মাণ করছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শিগগির এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ