যুক্তরাষ্ট্রের আশির দশকের টেলিভিশন সিরিয়াল ম্যাকগাইভার বাংলায়  রূপান্তর করে বাংলাদেশ টেলিভিশন [বিটিভি] নব্বইর দশকে প্রচার করেছিল। এটি বেশ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন অভিনীত সেই ম্যাকগাইভার বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ফিরেছে নতুন করে। তবে এবার বিটিভিতে নয়, ম্যাকগাইভারের বাংলা ডাবিং নিয়ে এসেছে এসআরকে ষ্টুডিও। ম্যাকগাইভার চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেতা ও মডেল আব্দুন নূর সজল। 

সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে এর প্রচার শুরু হয়েছে। এটি প্রচার হচ্ছে প্রতিদিন দুপুর ১টায় ও রাত ৯টায়। যদিও বিদেশি সিরিজে ডাবিংয়ের অভিজ্ঞতা সজলের নতুন নয়। দুই বছর আগে কোরিয়ান সিরিজ ‘লিজেন্ড অব দ্য ব্লুসি’তে কণ্ঠ অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ম্যাকগাইভার সিরিজে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সজল বলেন, ‘বিদেশি কোনো সিরিজের নির্দিষ্ট কোনো চরিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে নিজে কণ্ঠ দেওয়া চ্যালেঞ্জিং। ম্যাকগাইভার  অনেকেরই ভালোলাগার একটি সিরিজ। ছোটবেলায় নিজেরও একটি পছন্দের সিরিজ ছিল এটি। খুব যত্ন দিয়ে কাজটি করেছি। ম্যাকগাইভারের কণ্ঠ দেওয়ার বিষয়টি খুব এনজয় করছি। আশা রাখছি, এ সিরিজটি সবার কাছে উপভোগ্য হবে।’ 

সজল ছাড়াও সিরিজের বিভিন্ন পর্বে কণ্ঠ দিয়েছেন আবুল হায়াত, জয়া আহসান, তাসনিয়া ফারিণ, জাকিয়া বারী মম, নাজিয়া হক অর্ষা, মুমতাহিনা টয়া, রোজী সিদ্দিকীসহ অনেকে। 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সজল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ