সোনারগাঁয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও ইউপি সদস্য মীনা
Published: 12th, April 2025 GMT
পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে দুই সন্তানের জনকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন এক সন্তানের জননী ও সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মিনারা আক্তার মীনা। সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের মারব্দী বৈদ্যেরকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যেরকান্দী গ্রামের আবুল মিয়ার মেয়ে মিনারা আক্তার মীনার সাথে পার্শ্ববর্তী মারব্দী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে হয় প্রায় ২০ বছর আগে। তাদের সংসারে একটি পনের বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরে মীনা জড়িয়ে পরেন পরকিয়া প্রেমে।
পরকিয়া প্রেমিক হলেন নরসিংদী জেলা মাধবদী থানার মৈশাদী গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে ডাকাত দলের সর্দার আলম হোসেন হৃদয় (৪৪)। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, মাদক ও হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার এলাকাবাসীরা।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, মিনারা আক্তার মিনার স্বামী আনোয়ার হোসেন ব্যবসার সুবাধে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করার সুযোগে মিনার সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে ডাকাত সর্দার আলম এর সাথে। এর পর ভাঙতে শুরু করে আনোয়ার মিনার সংসার। এনিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিসি বিচার হলেও শুধরায়নি মিনা। শেষ পর্যন্ত ডাকাত সর্দারের হাত ধরে পালিয়ে যান।
মিনারা আক্তার মীনার প্রথম স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান আমাদের প্রায় ২০ বছরের সংসার। ব্যবসায় এর কাজে বিভিন্ন সময়ে এলাকার বাহিরে থাকার সুবাদে আমার স্ত্রীর সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে ডাকাত সর্দার আলম হোসেন হৃদয়। এর পর আমার নগদ অর্থ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে গিয়ে তারা নাকি বিয়ে করেছে।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার মিনারা আক্তার মীনার ভাই আলাউদ্দিন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘটনা সত্য। তবে এব্যাপারে আপাতত কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মীনা পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে আমাদের ফেলে গেছেন বিপাকে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সনদে তার স্বাক্ষর লাগার কারনে তার খোজে ঘুরতে হচ্ছে আমাদের।
এবিষয়ে জানতে সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক টিক্কার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘটনাটি আমার দৃষ্টি গোচরে এসেছে। আমি আমার পরিষদে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার জন্য তাকে ডেকেছি। সে না আসলে আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে ব্যাপারটি জানাবো। তিনি এব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমি আশাবাদী।
মিনারা আক্তার মীনার কোনো সন্ধান না পেয়ে তার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, অন্য কারো সঙ্গে প্রেম রয়েছে তার। তার সঙ্গে চলে গেছেন মীনা। কোথায় গেছে তারা জানেন না।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও পরক য় ন র য়ণগঞ জ য গ কর ব যবস পরক য়
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।