পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে দুই সন্তানের জনকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন এক সন্তানের জননী ও সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মিনারা আক্তার মীনা। সোনারগাঁ  উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের মারব্দী বৈদ্যেরকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যেরকান্দী গ্রামের আবুল মিয়ার মেয়ে মিনারা আক্তার মীনার সাথে পার্শ্ববর্তী মারব্দী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে হয় প্রায় ২০ বছর আগে। তাদের সংসারে একটি পনের বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরে মীনা জড়িয়ে পরেন পরকিয়া প্রেমে।

পরকিয়া প্রেমিক হলেন নরসিংদী জেলা মাধবদী থানার মৈশাদী গ্রামের  রফিজ উদ্দিনের ছেলে ডাকাত দলের সর্দার আলম হোসেন হৃদয় (৪৪)। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, মাদক ও হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার এলাকাবাসীরা। 

এলাকা সূত্রে জানা যায়, মিনারা আক্তার মিনার স্বামী আনোয়ার হোসেন ব্যবসার সুবাধে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করার সুযোগে মিনার সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে ডাকাত সর্দার আলম এর সাথে। এর পর ভাঙতে শুরু করে আনোয়ার মিনার সংসার। এনিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিসি বিচার হলেও শুধরায়নি মিনা। শেষ পর্যন্ত ডাকাত সর্দারের হাত ধরে পালিয়ে যান। 

মিনারা আক্তার মীনার প্রথম স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান আমাদের প্রায় ২০ বছরের সংসার। ব্যবসায় এর কাজে বিভিন্ন সময়ে এলাকার বাহিরে থাকার সুবাদে আমার স্ত্রীর সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে ডাকাত সর্দার আলম হোসেন হৃদয়। এর পর আমার নগদ অর্থ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে গিয়ে তারা নাকি বিয়ে করেছে।

অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার মিনারা আক্তার মীনার ভাই আলাউদ্দিন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘটনা সত্য। তবে এব্যাপারে আপাতত কথা বলতে রাজি হননি তিনি। 

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মীনা পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে আমাদের ফেলে গেছেন বিপাকে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সনদে তার স্বাক্ষর লাগার কারনে তার খোজে ঘুরতে হচ্ছে আমাদের। 

এবিষয়ে জানতে সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক টিক্কার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘটনাটি আমার দৃষ্টি গোচরে এসেছে। আমি আমার পরিষদে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার জন্য তাকে ডেকেছি। সে না আসলে আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে ব্যাপারটি জানাবো। তিনি এব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমি আশাবাদী। 

মিনারা আক্তার মীনার কোনো সন্ধান না পেয়ে তার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, অন্য কারো সঙ্গে প্রেম রয়েছে তার। তার সঙ্গে চলে গেছেন মীনা। কোথায় গেছে তারা জানেন না।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও পরক য় ন র য়ণগঞ জ য গ কর ব যবস পরক য়

এছাড়াও পড়ুন:

‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত নায়িকা আরিফা পারভীন মৌসুমী। সোমবার (৩ নভেম্বর) ৫২ বছর বয়স পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ এই দিনে দেশে নেই, সন্তানদের সঙ্গে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মৌসুমী। 

মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তার স্বামী ওমর সানী। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে চিত্রনায়ক ওমর সানী কয়েকটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে স্ত্রীকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন।  

আরো পড়ুন:

মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর

তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

এসব ছবির ক্যাপশনে ওমর সানী লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দূরে থেকেও আমরা কাছে এটাই বাস্তব, আর যারা আমাদেরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা নিউজ করে ওরা হচ্ছে…। শুভ জন্মদিন।” 

জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রিয় অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ওমর সানীর এই পোস্টে নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মৌসুমীকে।  

চিত্রনায়িকা মুনমুন লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, প্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী আপা।” শাহনূর লেখেন, “শুভ জন্মদিন আপু।” আইরিন সুলতানা লেখেন, “শুভ জন্মদিন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।  

১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন মৌসুমী। তার বাবার নাম নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান। 

চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে। এ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম সিনেমাতে নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেন। তারপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী। 

নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ