আদমজী ইপিজেডে কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা
Published: 13th, April 2025 GMT
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৬ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরো ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার সকালে আদমজী ইপিজেডের নিরাপত্তা পরিদর্শক মুনসুর হাওলাদার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আটককৃত ৪৫ জনকে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। রবিবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি বলেন, মামলায় ইপিজেডে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও নিরাপত্তা কর্মীদের মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ৪৫ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদনও করা হবে। এ মামলায় এজাহারনামীয় আরেকজন পলাতক রয়েছে। এছাড়া এই মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার বিকেলে কারখানা বন্ধ রেখে ‘মার্চ ফর গাজা’ মিছিলে যোগ না দেওয়ায় কয়েকশ’ লোক ইপিজেড এলাকায় ঢুকে পোশাক কারখানাগুলোতে হামলার ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় যৌথবাহিনী ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা ইপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোং লিমিটেড, ইউনিক বিডি লিমিটেড, সিম্মা ইউনিট-২ এবং অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেডে ভাঙচুর চালান।
অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেড কারখানাটির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধরও করেন। কারখানা বন্ধ না করলে কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়ে কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেন তারা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করে।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান রবিবার বলেন, ইপিজেডে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে ৩৮ জনকে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে হাজির করা হলে শুনানী শেষে ৩৮ জনকেই জামিন দেয়া হয়েছে।
৪৫ জনের মধ্যে বাকী ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে শিশু আদালতে হাজির করা হলে জামিন মঞ্জুর করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
আদমজী এম.ডব্লিউ স্কুলে জুলাই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন
জুলাই পুনর্জাগরণ ২০২৫ উপলক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আদমজীনগর এম ডব্লিউ স্কুলের মিলনায়তনে জুলাই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিস কর্তৃক আয়োজিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীতে শিক্ষর্থীদের জুলাই আন্দোলনের এর শুরুর প্রেক্ষাপট দেখানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এম.ডব্লিউ স্কুলের শিক্ষক বৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহবায়ক মেহরাব হোসেন প্রভাত, যুগ্ম সদস্য সচিব ইমন আহমেদ, জেলা সংগঠক মোঃ তামিম, জেলা সদস্য মাহাদী হাসান, মহানগর সদস্য ইমন, থানা প্রতিনিধি মোঃ ফাহিম, মোঃ নাসির, সুজন খান, লাবিব সহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বৈছাআ এর প্রতিনিধিগণ।
বৈছায়া নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব ইমন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আমরা সকলেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলী এলাকার বাসিন্দা। এখানে মাদক ও ইভটিজিং এর উপদ্রব অনেক বেশি।
তাই আজ থেকে আমরা এই মাদক এবং ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আমরা কেউ মাদক সেবন করবো না ও ইভটিজিং করবো না। আমরা আমাদেরকে এবং আমাদের ভাই-বোনদেরকে রক্ষায় সর্বদা সতর্ক থাকবো।
বৈছায়া নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহবায়ক মেহরাব হোসেন প্রভাত বলেন, যেহেতু আমাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ড কেন্দ্রীয় নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে। আমরা তা বন্ধ রেখেছি। কিন্তু জুলাই অভ্যুথানের শহিদদের স্মরণ ও আহতদের জন্য দোয়ার অনুষ্ঠান আমাদের চলমান কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে জুলাই পুনর্জাগরণ ২০২৫ উপলক্ষে জুলাই ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের আমরা সহযোগিতা করছি।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের যে সকল ভাই ও বোনেরা জীবন দিয়েছে তাদের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং আমাদের যে সকল ভাই ও বোনেরা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা ও দোয়া করছি। ২৪ এর জুলাই না আসলে হয়তো কখনো জানতেই পারতাম না এই বাংলাদেশকে কতটা ভালোবাসি আমরা।
একসময় ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ নিজেদের জীবন বাজি রেখে দেশকে বাঁচাতে এক ভয়ানক যুদ্ধে নেমে গেল। অতঃপর তৈরি হলো ঐক্য, যে ঐক্যের বাঁধ ভাঙতে পারল না আর কোনো শক্তি । আর সেই ঐক্য নিয়ে আসলো ২৪’র বিপ্লব। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদী দলকে বিতাড়িত করতে পারলেও পারিনি এখনো ফ্যাসিবাদ মনোভাবমুক্ত করতে।
সিংহভাগ ব্যক্তিত্বের মাঝে রয়ে গিয়েছে এখনো সেই আগের মতোই ফ্যাসিবাদী মনোভাব। এই ফ্যাসিবাদী মনোভাব কে দূর করতে হলে আগে আমাদের নিজেদের ঠিক হতে হবে তারপর নিজের দেশকে ঠিক করতে হবে। আওয়াজ উঠান অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
দেশ গড়তে রাজনীতি করা লাগেনা, মানব সেবা করতে রাজনীতি করা লাগেনা, শুধু লাগে দায়িত্ব আর সেই দায়িত্বকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে প্রয়োজন প্রবল ইচ্ছা শক্তি। যে ইচ্ছা শক্তি গড়বে আমাদের আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ।