চাঁদপুরের কচুয়ায় নুরুল হক নামে এক যুবলীগ নেতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বিতারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ জানায়, পরকীয়া প্রেমের কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে থাকতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

নিহত নুরুল হক বিতারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি বিতারা গ্রামের মৃত সুলতানের ছেলে।

আরো পড়ুন:

বাড়িঘরে কয়েকশত লোকের হামলা, বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদীতে নারীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, ‍“গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জালাল আমার স্বামী নুরুল হককে পাশের বাড়ির আব্দুর রহিমের ছেলে শুকুর আলীর নির্দেশে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। তিন বছর আগে শুকুর আলীর ডিভোর্সী প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা নিয়ে সন্দেহ করে সেখানে আমার স্বামীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।”

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কচুয়া থানার ওসি মো.

আজিজুল ইসলাম বলেন, “তিন বছর আগের পরকীয়া প্রেমের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে খবর পাই। রাতেই নুরুল হকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রাম পুলিশসহ ৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।”

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য য বল গ আটক

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ