নোয়াখালীতে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, চালকের দুই সহকারী নিহত
Published: 16th, April 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেওয়ায় চালকের দুই সহকারী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোর চারটার দিকে বেগমগঞ্জ থানার কাছে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর সড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে একটি ট্রাকের চালক আহত হয়েছেন।
নিহত দুজন হলেন মোহাম্মদ সজীব (১৮) ও মোহাম্মদ সাকিব (১৭)। তাঁদের বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকার বাসিন্দা। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশ নিহত দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার ও দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক দুটি আটক করে।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জ থানা থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ পশ্চিমে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল একটি বালুবাহী ট্রাক। আজ ভোর চারটার দিকে পেছনের দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটির সামনের কেবিনে বসা দুই সহকারী ঘটনাস্থলে নিহত হন। ধাক্কা দেওয়া ট্রাকের চালকও আহত হন। তবে তিনি দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান।
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছনের দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দিলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকের চালকের দুই সহকারী নিহত হয়েছেন।
ওসি মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, ধাক্কা লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি পাশের ডোবায় পড়ে যায়। আর ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটির সামনের কেবিন চ্যাপ্টা হয়ে যায়। ট্রাক দুটি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ই সহক র ব গমগঞ জ দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
অপহরণে বাঁধা দেওয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা, আটক ৩
অপহরণে বাঁধা দেওয়ায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মো. শাকিল (৩১) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই শুভকেও (২৮) গুলি করলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। পরে তাকে পিস্তলের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে আহত করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাবর বাজারের ইসলামিয়া মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল একই গ্রামের মো. সোলাইমান খোকনের ছেলে এবং পেশায় একজন থাই গ্লাস মিস্ত্রি ছিলেন। ঈদুল আযহার আগে শাকিলের সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ৮টার দিকে শাকিলসহ কয়েকজন ছয়ানীর গঙ্গাবর বাজারের ইসলামিয়া মার্কেটের একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। ওই সময় এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে নয়জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে লাবিব নামে এক যুবককে জোরপূর্বক তুলে নিতে চেষ্টা করে। তখন শাকিলসহ আরো কয়েকজন তাদের বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে। পিস্তলের গুলি শাকিলের বুকে ও মাথায় বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় তার ছোটভাই শুভ বড়ভাই শাকিলকে বাঁচাতে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীর দল কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তাকে পিস্তলের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে আহত করে। গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে তিন জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রাখে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
তাৎক্ষণিক এলাকার লোকজন দুই ভাইকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করে। নিহতের ছোট ভাই শুভ জানান, আটকসন্ত্রাসীদের সাথে স্থানীয় গঙ্গাবর গ্রামের যুবক লাবিবের সাথে পূর্ব বিরোধ ছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে বেগমগঞ্জ উপজেলার আগলাইয়ার পুর ইউনিয়নের নয়জন সন্ত্রাসী সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে এসে লাবিবকে গঙ্গাবর বাজারে এসে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিতে চেষ্টা করে। এসময় বাজারের লোকজনের সাথে শাকিল ও লাবিবকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা শাকিলকে লক্ষ্য করে পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়ে। গুলি বুকে ও মাথায় বিদ্ধ হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তিনি তার ভাইকে বাঁচাতে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে অপহরণকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন তার ভাই ও শাকিলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহত শাকিল বিবাহিত ছিলেন। তার ৮মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার বই সূত্রে জানা যায় রাত ৮ টা ৩৫ মিনিটের দিকে শাকিলকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার বুকে ও মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনাস্থলে অবস্থানরতম বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবীবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্খানীয় এলাকাবাসী অস্ত্রধারী তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রেখেছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমরা তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করছি।