যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার একটি গোপন নথি প্রকাশ করেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোভিয়েত সেনাদের সঙ্গে একটি ইউএফওর (অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু) সংঘর্ষ নিয়ে বিভিন্ন বিষয় সেখানে উল্লেখ করা আছে। বলা হয়েছে, ওই ইউএফওতে যাত্রী হিসেবে থাকা ভিনগ্রহের প্রাণীরা সোভিয়েত সেনা দলটিকে পাথরে রূপান্তরিত করে দিয়েছিল।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কেজিবির ২৫০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন হাতে পায় সিআইএ। কেজিবি হলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা। ইউক্রেনের আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া একটি ইউএফওকে লক্ষ্য করে একটি সোভিয়েত সেনা দল গুলি ছোড়ার পরবর্তী ঘটনাগুলো নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং ঘটনার পরবর্তী সময়ের ছবি যুক্ত করা হয়েছিল। এ সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘এটি ভিন গ্রহের প্রাণীদের প্রতিশোধের এমন এক ভয়াবহ চিত্র, যা যে কারওরই রক্ত ​​হিম করে দেয়।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে প্রশিক্ষণরত সোভিয়েত সেনা দল অনেকটা নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া একটি আকাশযান শনাক্ত করে। ইউএফও আকৃতির ওই যানটি তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে ঘোরাফেরা করছিল।

এ সময় সোভিয়েত সেনাদের একজন ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েন। ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউএফওতে আঘাত করে এবং এটি মাটিতে বিধ্বস্ত হয়।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া যানটি থেকে বড় মাথা এবং বড় কালো চোখওয়ালা মানুষসদৃশ পাঁচটি প্রাণী বের হয়ে এসেছিল।

ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া সেনাদের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রাণীগুলো বিধ্বস্ত হওয়া যানটির ধ্বংসাবশেষ থেকে বের হয়ে একসঙ্গে জড়ো হয়েছিল। এরপর তারা একটি একক বস্তুতে পরিণত হয়েছিল এবং তা গোলাকৃতি ধারণ করেছিল। কয়েক সেকেন্ডের ভেতর গোলাকৃতির বস্তুটি অনেক বড় হয়ে যায় এবং অনেক আলোক বিকিরণ তৈরি করে বিস্ফোরিত হয়। ঠিক সে সময় ঘটনাটি দেখছিলেন এমন ২৩ জন্য সেনা পাথরের খুঁটিতে পরিণত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র দুজন সেনা প্রাণে বেঁচেছিলেন। ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকায় এবং আলোক বিকিরণকারী বিস্ফোরণের সংস্পর্শে কম আসার কারণে তাঁরা বেঁচে যান।

অভিযোগ আছে, কেজিবির সদস্যরা ‘পাথর হয়ে যাওয়া’ সেনা সদস্য। রুশ সেনাদের একটি দল বিধ্বস্ত যানটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল এবং সেগুলোকে মস্কোর কাছে একটি গোপন ঘাঁটিতে নিয়ে গিয়েছিল।

সিআইএর ওই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়, ‘যদি কেজিবির নথিটি বাস্তবতার সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে এটি একটি অত্যন্ত ভয়ংকর ঘটনা। এর মানে, অ্যালিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের কাছে এমন অস্ত্র ও প্রযুক্তি আছে, যা আমাদের সব ধারণার বাইরে। আক্রমণ হলে তারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা দিতে পারে।’

সিআইএ ২০০০ সালে সর্বপ্রথম নথিটি প্রকাশ করেছিল। মূলত তখন কানাডীয় সাপ্তাহিক ওয়ার্ল্ড নিউজ এবং ইউক্রেনের সংবাদপত্র হোলোস ইউক্রেয়েনিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাটি ইউএফও (আন-আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট) প্রেমীদের কাছে আগ্রহের বিষয় হিসেবে থেকে যায়। গত বছর ‘দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স’ পডকাস্টেও এটি প্রকাশ করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হয় ছ ল ইউক র

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী

নারায়নগঞ্জের জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আমেনা বেগম (৩৮) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ফিরে গেলো তার আপন ঠিকানায়। 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে উদ্ধার মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  পরিবারের লোকজন কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার লনেস্বর গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী। 

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ঘিরে লোকজনের ভীড় উপস্থিতি দেখতে পেয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ।

নারীটির আচরন ও কথাবার্তা শুনে মানসিক প্রতিবন্ধী  মনে হওয়ায় তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিবন্ধী নারীর বিচ্ছিন্নভাবে প্রদত্ত তথ্যের সমন্বয়ে থানা পুলিশ ধারণা করেন যে তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার কোন এক জায়গায়।

মঙ্গলবার সকালে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার বাড়ী এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।পরবর্তীতে পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে 

ঐ নারীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে কুমিল্লা থেকে বিকেল ৪ টার ঐ নারীর ভাই সহ পরিবারের অপর সদস্যরা থানায় এলে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আমেনা বেগম কে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তুলে দেয়।

আমেনা বেগমের ভাই মোঃ মানিক জানায়,তার বোন মানসিক রুগী। বোন জামাই প্রবাসী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সকলের অগোচরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারা তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ ও করতেছিলো।

মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদের কে মোবাইল ফোনে ফোন করে তার বোনকে পাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে চারটার দিকে তারা ফতুল্লা থানায় এসে তার বোনকে পায়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গাজী শামীম জানান,নারীটি রাতে ঠিকমতো কিছু বলতে পারছিলোনা। সকালে তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার ফলে বাসার ঠিকানা জানতে পারেন। তখন সেখানকার থানার সাথে যোগাযোগ করেন।

থানা থেকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ঐ মহিলার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে নারীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ হয়। বিকেল চারটার দিকে ঐ নারীর পরিবারের সদস্যরা ফতুল্লা থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির
  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
  • ডাকসুর ব্যালট পেপারে ২ ভোট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন
  • নরসিংদীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি স্থগিত
  • দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা: দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • গাজায় পাগলের মতো বোমা ফেলছে ইসরায়েল
  • ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
  • ফতুল্লায় প্রতারণা করে ১৫ লাখ টাকার রড নিলো প্রতারক চক্র, কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩