যে চারটি ফল নীরবে ওজন বাড়াতে পারে
Published: 17th, April 2025 GMT
কলা
কলায় থাকে প্রচুর শর্করা, যা তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করলেও বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে। কলায় ক্যালরিও থাকে বেশ। একটি মাঝারি আকারের কলা থেকে ১০৫ ক্যালরি পাওয়া যায়। তা ছাড়া কলা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা থেকে চর্বি সঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনএই ৫ কৌশলে কলা দিনের পর দিন ভালো থাকবে২৪ অক্টোবর ২০২৪আম‘ফলের রাজা’ আমে যেমন আছে প্রাকৃতিক শর্করা, তেমনি আছে ক্যালরি। মাঝারি আকারের একটি আমে ১৫০-২০০ ক্যালরি থাকে। যে কারণে আম উচ্চশক্তির ফল হিসেবেও পরিচিত। তবে অতিরিক্ত আম খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকিও উপেক্ষা করা যায় না। কারণ, আমের শর্করার বেশির ভাগই ফ্রুক্টোজ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে চর্বি জমাতে পারে।
খেজুর‘সুপারফুড’ হিসেবে খেজুরের নামডাক আছে। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। প্রাকৃতিক শর্করা ও ক্যালরির পরিমাণও এতে অনেক। খুব সুস্বাদু ও জনপ্রিয় একটি মেডজুল খেজুরে ৬৬-৭০ ক্যালরি থাকে। সে হিসাবে একবারে পাঁচ-ছয়টি খেজুর খেলে ৪০০ ক্যালরি পাওয়া যায়। যেখানে ৭০ শতাংশ চিনি, প্রাথমিকভাবে ফ্রুক্টোজ। আর এটি শরীরের বিভিন্ন কাজে ব্যায় না হলে চর্বি হিসেবে সঞ্চিত হতে পারে। তা ছাড়া উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকভুক্ত হওয়ায় এর শর্করা দ্রুত রক্তে মিশে গিয়ে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। একইভাবে প্রোটিন ও ফাইবারের ভারসাম্য ব্যাহত হলে ওজনও বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুনপেট ফাঁপা কমাতে যে ৫টি ফল খাবেন০৭ জানুয়ারি ২০২৫আঙুরপ্রতি কাপ আঙুরে ১৫-২০ গ্রাম চিনি থাকে। তা ছাড়া প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণও আঙুরে বেশি। তাই অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি চর্বি জমা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মনে রাখবেন, এক কাপ আঙুরে থাকে ৬০-৭০ ক্যালরি।
সূত্র: ওয়েব এমডি
আরও পড়ুনকিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে এই ৭ ফল খান১১ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক