রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

‘বি’ ইউনিটে সর্বমোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪২ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে, বাণিজ্য গ্রুপের ১৭ হাজার ৬৮৪ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২১৮ জন (৩৫.

১৬ শতাংশ) এবং অ-বাণিজ্য গ্রুপে ১৭ হাজার ৪০৩ জনের মধ্যে ৯৫০ জন (৫.৪৬ শতাংশ) উত্তীর্ণ হয়েছেন। অ-বাণিজ্য গ্রুপে বিজ্ঞান শাখায় ৬১৮ জন ও মানবিক শাখায় ৩৩২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। উভয় গ্রুপ মিলিয়ে গড় পাশের হার ২০.৪৩ শতাংশ।

পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর বাণিজ্য গ্রুপে ৭৭.৫০ এবং অ-বাণিজ্য গ্রুপে ৬০.২৫। এই ইউনিটটিতে মোট আসন সংখ্যা ৫৫৯টি। এর মধ্যে, বাণিজ্য গ্রুপের জন্য ৩৬৭টি, অ-বাণিজ্য গ্রুপে বিজ্ঞান শাখার জন্য ১৬৬টি এবং মানবিক শাখার জন্য ২৬টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পরবর্তী করণীয় নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে https://admission.ru.ac.bd/ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ University of Rajshahi থেকে দেখা যাবে।

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ছয়টি বিভাগ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত। ভর্তি সংক্রান্ত রাবি ওয়েবসাইটে https://application.ru.ac.bd/ লগইন করে ভর্তিচ্ছুরা নিজ নিজ ফলাফল দেখতে পারবে।

এজন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষার রোল নম্বর, শিক্ষা বোর্ডের নাম ও পাশের বছর প্রয়োজন হবে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ