মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
Published: 18th, April 2025 GMT
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, পরিস্থিতির সুযোগে লুটপাটও ঘটতে পারে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেন ও কাউছার সরকার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৮ জন আহত হন।
আহতদের কয়েকজনকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকে ঢাকা পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রমজান মাসে পূর্ববিরোধের জেরে কাউছার সরকার গ্রুপের কাউছার হামলার শিকার হন। তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে শাজাহান সরকার (কাউছারের বাবা) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আটকরা বুধবার জামিনে মুক্তি পান। দুই দিন পর, শুক্রবার দুপুরে জাকির গ্রুপের লোকজন বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
হরিপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়কান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দুজনই বড়কান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। সেই প্রতিযোগিতা থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। গত এক মাস আগে জাকিরের লোকজন কাউছারকে হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলে, কুপিয়ে জখম করে। এই মামলায় জাকিরসহ তার লোকজন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের আটক করে জেলে প্রেরণ করলে ১১ দিন পর জামিনে এসে বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর কাউসারের লোকজন ও সেখানে গেলে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুপক্ষের ৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়।
এবিষয়ে জাকির হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সমকালকে বলেন, আমরা ১১ দিন পর জামিন পেয়ে গতকাল রাতে বাড়িতে এসেছি। আজ সকালে শুনছি আমার চাচা ডালিমকে মারছে এরপর আমরা কয়েকজন ওইখানে খাল পার হয়ে যাই। সেখানে আমাদের লোকজনকে মারধর করে। আমার ৫ জন আহত হই। এদের মধ্যে একজন গুরুতর অবস্থায় আছেন।
তবে বাদীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকির হোসেন।
মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল সমকালকে জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে পুলিশ গেছে। পুরোনো বিরোধের জেরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। ৩-৪ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে লিখিতি অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত স ঘর ষ র ল কজন জন আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সুইডেনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩
সুইডেনে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার উপসালা শহরের ভাকসালা স্কয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সুইডিস পুলিশ। খবর রয়টার্সের
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এসভিটিকে জানান, তারা পাঁচটি গুলির শব্দ শুনেছেন এবং ওই এলাকার লোকজনকে দৌড়াতে দেখেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণ জনগণ গুলির শব্দ শোনার পর তাদের জানায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহতদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, এক ব্যক্তি একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে। ওই ব্যক্তি অপরাধী বা প্রত্যক্ষদর্শী বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমন কেউ কি-না, তা এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়।’
সুইডেনের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী গানার স্ট্রোমার বলেছেন, মন্ত্রণালয় পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। ঘটনাটির অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরের একটি শিক্ষাকেন্দ্রে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গুলি করে ১০ জনকে হত্যা করেন। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি বেকার ও একাকী ছিলেন। হামলা চালানোর পর তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।