মঙ্গল গ্রহ অতীতে উষ্ণ ও ভেজা ছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের
Published: 18th, April 2025 GMT
দূর থেকে মঙ্গল গ্রহকে একটি বিশাল লোহার লাল বলের মতো মনে হয়। আর তাই লাল রঙের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এবার মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পাঠানো রোভার কিউরিওসিটি মঙ্গল গ্রহে খননকাজ করার সময় বেশ কিছু শিলার তথ্য সংগ্রহ করেছে। শিলাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সিডারাইট খনিজের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই খনিজের উপস্থিতির কারণে মঙ্গল গ্রহ অতীতে উষ্ণ ও ভেজা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহে জীবাণুর খোঁজ করছে কিউরিওসিটি। ২০২২ ও ২০২৩ সালে গেইল ক্রেটার নামের একটি বিশাল আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের খনন করে শিলা সংগ্রহ করেছে রোভারটি। সেই শিলায় সিডারাইট নামের আয়রন কার্বোনেট খনিজ পাওয়া গেছে। শতকোটি বছর আগে গঠিত পাললিক শিলায় সিডারাইট খনিজের উপস্থিতি প্রমাণ করছে, মঙ্গল গ্রহে একসময় কার্বন ডাই–অক্সাইডসমৃদ্ধ ঘন বায়ুমণ্ডল ছিল।
এত দিন মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে অতীতে কার্বন ডাই–অক্সাইড থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ ছিল না। নতুন এ গবেষণায় কার্বোনেট খনিজের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় গ্রহটিতে কোনো একসময় কার্বন ডাই–অক্সাইড ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কানাডার ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূরসায়নবিদ বেঞ্জামিন টুটোলো বলেন, মঙ্গল গ্রহের বিবর্তন ও বাসযোগ্যতা অধ্যয়নের দীর্ঘস্থায়ী রহস্যের একটি হচ্ছে কার্বন ডাই–অক্সাইডের উপস্থিতি। মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে কার্বোনেট খনিজের এত কম উপস্থিতি বড় রহস্য। ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়, গ্রহটিতে বিভিন্ন কার্বোনেট খনিজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত রোভারের তথ্য থেকে এদের উপস্থিতি বেশ কম পাওয়া গেছে। গেইল ক্রেটারের পাললিক শিলা ও বেলেপাথর প্রায় ৩৫০ কোটি বছর আগে জমা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ল বল
এছাড়াও পড়ুন:
জ্বালানি উপদেষ্টা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানোর আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ শুক্রবার এক পোস্টে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।’
যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। তখন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক ছিল ৩৭ শতাংশ। তিন মাসের জন্য এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক হবে ৩৫ শতাংশ, যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমাতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। একই আদেশে দেশে আরও কয়েক ডজন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক বসান তিনি।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান