কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত এলাকা ফলুয়ার চর, সেনাপুর ও নামাজের চর পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা বিডব্লিউডিবি ডিজাইন সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী
ফাইয়াজ জালাল উদ্দিন, ডিজাইন সার্কেলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান। 

শুক্রবার দুপুরে এসব ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন তারা।

প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, রৌমারীর বিভিন্ন নদী ভাঙন কবলিত এলাকার জন্য কিছু বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। ঢাকা থেকে ডিজাইন দল এই চাহিদাগুলো সঠিক আছে কি-না, তা ভেরিফাইড করতে এসেছে। তারা গিয়ে প্রতিবেদন দেবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা হয়তো বাজেটের অনুমোদন পাব। তারপর দরপত্র আহ্বান করে খুব দ্রত কাজ শুরু করব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দরপত্র প্রক্রিয়া করে সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারি। এছাড়াও স্থানীয়দের বাঁশের বান্ডিল ও বস্তা ফেলার দাবি রয়েছে। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। 

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন- রৌমারী নদী রক্ষা সংগঠক মহিউদ্দিন মহির ও ট্রোসা-২ প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার খায়রন্নেসা সরকারসহ স্থানীয়রা।

মহিউদ্দিন মহির বলেন, সোনাপুর, ঘুঘুমারী ও সুখেরবাতি অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে, বিশেষ করে সোনাপুর এলাকায় ভাঙনের যে তীব্রতা, এক সপ্তাহের মধ্যে এক কিলোমিটার ভেঙে ভেতরে ঢুকেছে। বাড়িঘর সব বিলীন হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চারতলা ভবন ও বাজার আছে, এগুলো যদি দ্রুত রক্ষা করতে না পারি, তাহলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্রে পানি বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে রৌমারী উপজেলায় দেখা দেয় তীব্র ভাঙন। এতে খেদাইমারী, সুখেরবাতি, ঘুঘুমারী, সোনাপুর ও নামাজের চর, উত্তর খাউরিয়া, ঘুঘুমারী, চর ইটালুকান্দা, চর খেদাইমারীর প্রায় ৫০০ মানুষের ভিটেমাটি, হাজার হাজার একর আবাদি জমি, পাঁচটির বেশি শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় বাজার, মসজিদসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে কিংবা অন্যের ভিটায় ঠাঁই নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয় ভাঙন কবলিত মানুষদের। নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় নদী তীরবর্তী বাড়ির বাসিন্দাদের। কখন যে ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায় তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। ভিটেমাটি হারানো তাদের প্রতিবছরের দুঃখ গাঁথা। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া সারা বছর কম-বেশি ভাঙতে থাকে নদী। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল ন হয়

এছাড়াও পড়ুন:

পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুল
  • পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঠিকাদারকে দরপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
  • কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর ও সাভার থেকে ভাটারা পথে মেট্রোর ব্যয় দাঁড়াবে ২ লাখ কোটি টাকা