আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যাত্রাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল
Published: 19th, April 2025 GMT
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) এবং জুলাই বিপ্লব পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শনিবার বিকেলে যাত্রাবাড়ী মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলের আগে যাত্রাবাড়ী মোড়ে সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক খান মো. মুরসালিন বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি পরিষ্কার জানতে হবে। আওয়ামী লীগ হলো সন্ত্রাসী সংগঠন। মানুষকে খুন করে গুম করে আর্থিক লুটপাট করে দেশকে ধ্বংস করে পালিয়ে গেছে। তারা দেশকে ঝাঁঝরা বানিয়ে ছেড়েছে। সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার জন্য যা যা করার তার সবই করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে রাষ্ট্রের যে আচরণ হওয়া উচিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেই আচরণ করতে হবে। শুধু আইনগতভাবেই না, সামাজিকভাবেও আওয়ামী লীগকে বয়কট করতে হবে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, প্রতিরোধের বিকল্প নেই এখানে।
এনসিপির সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো.
এছাড়াও বিক্ষোভ পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এস এম শাহরিয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নির্বাহী সদস্য আহনাফ জামান, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুজ্জামান হৃদয়, যাত্রাবাড়ী থানা এনসিপির প্রতিনিধি হিমেল, শ্যামপুর থানা এনসিপি নেতা রায়হান হোসেন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আবুল হাসান ও সাদিল আহমেদ, সদস্য সচিব মোদাশ্বের হক তানভীর, মুখপাত্র স্বাধীন খান, উপমুখপাত্র সুরাইক হাসান সিয়াম প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ এনস প র সদস য আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান পছন্দ হয়নি স্যামির
চট্টগ্রামের সাগরিকায় উপস্থিত থাকা দর্শকরা গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাপোর্ট করেছে এমন কথা শুনলে অবাক হবেন নিশ্চিয়ই? অবাক হওয়ার কিছু নেই। সত্যিই এমন কিছুই হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে।
ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ বাংলাদেশ দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন দর্শকরা আপাতদৃষ্টিতে এমনটাই মনে হয়েছে। লাল-সবুজের পতাকা গ্যালারিতে উড়তে দেখা যায়নি তেমনটা নয়। কিন্তু ম্যাচ যত গড়িয়েছে সেই পতাকা উড়ানোও তত কমেছে। টিকিটের মূল্য একেবারে হাতের নাগালে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তবুও ভরেনি গ্যালারি।
লিটন, জাকের, তাসকিন, শরিফুল, সাইফদের পারফরম্যান্স এমন গড়পড়তা যে সমর্থকরা প্রতিপক্ষের ব্যাটিং-বোলিং দেখেই বেশি আনন্দিত হচ্ছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যে নিবেদন, যে চাহিদা তা রোস্টন চেজ, আকিম আগাস্তের ব্যাটে পাওয়া গেলে সমর্থকদের দোষ কোথায়? তাদের চার-ছক্কায় গ্যালারিতে তালির ঝড় উঠে। উল্লাস, উদ্দীপনায় মাততে দেখা যায়।
আর স্বাগতিক দলের জন্য উড়ে আসে দুয়ো ধ্বনি। ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান চললো পুরো ম্যাচ জুড়েই। বিশেষ করে সীমানায় থাকা ক্রিকেটাররা দর্শকদের রোষানলে পড়লেন বেশি। শুধু তা-ই নয়, স্টেডিয়ামের যাওয়া-আসার পথেও সেই সমর্থকরাই ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগানে এলোমেলা করে দেন ক্রিকেটারদের।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে এসব স্লোগান একেবারেই পছন্দ হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামির। ক্যারিয়ারে নানা সময় বাংলাদেশে আসায় কিছুটা বাংলা শব্দ তারও জানা। তবে ভুয়া অর্থটা জেনেছেন এবারই। তাইতো তার হৃদয়ে কিছুটা দহনও হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য, “তারা (দর্শকরা) ক্রিকেটারদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেছে, সেটা আমার ভালো লাগেনি। আমি শুনেছি তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলছে। এর অর্থও আমি জেনেছি। কিন্তু আমি মনে করি না, হোম টিমের দর্শক হিসেবে এমন করা উচিত। কারণ আপনারা তখন সমর্থক। প্রত্যেক ক্রিকেটারই মাঠে আসে তাদের সেরাটা দেওয়ার জন্য। তাই আপনাদের উচিত, তাদের সমর্থন করা।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইবার বিশ্বকাপ জেতানো স্যামি কঠিন সময়ে ক্রিকেটারদের পাশে থাকার কথা বললেন, ‘‘তবুও তারা (দর্শকরা) ভালো। তারা নিজেদের দলকে পারফর্ম করতে দেখতে চায়। তবে যত বেশি সমর্থন ও উৎসাহ দেবেন, তারা তত দূর যেতে পারবে। ক্রিকেটারদের অযথা চাপে ফেলবেন না। ফ্যানদের বলব, তাদের (ক্রিকেটারদের) সঙ্গে সুন্দর আচরণ করুন।”
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন