Samakal:
2025-05-01@00:04:39 GMT

বিনোদনে ভিশন এআই

Published: 20th, April 2025 GMT

বিনোদনে ভিশন এআই

ভিশন এআই অভ্যাস ও পছন্দ বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিনির্ভর পরিষেবা দেয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ত্রিমাত্রিক বিনোদন জগৎকে যা সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ করবে

বৈশ্বিক টিভি বাজারে ১৯তম বছরের মতো নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে প্রযুক্তি উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওমডিয়ার বলছে, ২০২৪ সালে টিভির বাজারের ২৮.

৩ শতাংশ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। সারাবিশ্বে টিভির মানোন্নয়নে প্রিমিয়াম ও আলট্রা লার্জ স্ক্রিনে উদ্ভাবন ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করতে ব্র্যান্ডটি কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে টিভির জগতে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ডিভিশনের ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর জানালেন, বৈশ্বিক টিভি বাজারে ১৯ বছর ধরে টানা স্বীকৃতি অর্জন সত্যিই গর্বের। এমন অর্জন গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাসের দৃষ্টান্ত। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ভবিষ্যতের টিভি শিল্প খাতের সম্ভাবনা উন্মোচনে আমরা এখন কাজ করছি। বৈশ্বিকভাবে প্রিমিয়াম টিভি সেগমেন্টে (আড়াই হাজার মার্কিন ডলারের অধিক মূল্যের) স্যামসাং ব্র্যান্ডের বাজার অংশ ৪৯.৬ শতাংশ। আলট্রা লার্জ ক্যাটেগরিতে (৭৫ ইঞ্চি ও তার অধিক) অংশীদারিত্ব ২৮.৭ শতাংশ। স্যামসাং কিউলেড ও ওলেড সেগমেন্টে নিজেদের সেরাটা ধরে রেখেছে। কিউএলইডি বাজার অংশীদারিত্ব ৪৬.৮ শতাংশ আর ওএলইডিতে বাজার অংশীদারিত্ব ২৭.৩ শতাংশ। স্যামসাং ৮০ লাখের বেশি কিউএলইডি টিভি ইউনিট বিপণন করেছে। উল্লেখ্য, প্রথমবার কিউএলইডি টিভি মোট বৈশ্বিক টিভি বিপণনে ১০ শতাংশ অতিক্রম করেছে। যার মাধ্যমে বিশেষ সেগমেন্টে টিভি বিক্রির সংখ্যা বেড়েছে।
ওএলইডি সেগমেন্টে স্যামসাং ১০ লাখের বেশি ইউনিট টিভি বিক্রি করেছে। ফলে বার্ষিক বিক্রির হিসাবে ৪২ শতাংশ আর বাজার অংশীদারিত্ব ৪.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা ওএলইডি প্রযুক্তির প্রতি ক্রেতার আগ্রহের দৃষ্টান্ত। ওএলইডি ক্যাটেগরিতে স্যামসাং ব্র্যান্ডের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কারণে ক্রেতার মধ্যে এমন ঘরানার টিভির চাহিদা বাড়ছে।
২০২৫ সালের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক প্রদর্শনীতে এআই প্রযুক্তির স্ক্রিন প্রযুক্তির যুগান্তকারী উদ্ভাবন ‘ভিশন এআই’ 
প্রদর্শন করেছে ব্র্যান্ডটি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এআই স গম ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

আজও আছে পরতে পরতে সৌন্দর্য

কারুকার্যখচিত বিশাল ভবন। দেয়ালের পরতে পরতে মনোহর সৌন্দর্য। মনোরম পরিবেশে ভবনের চারপাশে দাঁড়িয়ে সুন্দরী পরীর আবক্ষ মূর্তি। ছবির মতো সাজানো ‘পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি’ এখন কালের সাক্ষী।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কলমাই নদীতীরে ১৫ একর জমিতে জমিদারবাড়িটি। ঢুকতেই চোখে পড়ে পুরোনো মন্দির। লোকমুখে প্রচলিত, শরতের দিনে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে এখানে ব্যস্ত থাকতেন ভারতবর্ষের নামকরা কারিগররা। কালের বিবর্তনে স্থানটি এখন নির্জন। নেই আগের গৌরব-আভিজাত্যের ছাপ, এমনকি প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততাও।

মন্দির ঘুরে দেখা যায়, এর কোথাও কোথাও ইট খসে পড়েছে। পুরোনো দিনের নকশা হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য। মন্দিরের পেছনে বিশাল তিনটি মহল, যা সেকালে তিন তরফ নামে পরিচিত ছিল। মহলগুলোর আলাদা কোনো নাম পাওয়া যায়নি। সবচেয়ে বড় মহলে বর্তমান পাকুটিয়া বিসিআরজি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পরিচালিত হচ্ছে।

দোতলা ভবনের নির্মাণশৈলী মুগ্ধ করবে সবাইকে। যদিও সংস্কারের অভাবে ভবনটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাশেই অপূর্ব লতাপাতার কারুকার্যখচিত বিশাল আরেকটি ভবন, যার মাথায় ময়ূরের মূর্তি। এ ছাড়া কিছু নারী মূর্তিরও দেখা মেলে। জমিদার আমলের টিনের চৌচালা ঘরে অস্থায়ীভাবে সরকারি তহশিল অফিস স্থানান্তর হলেও, সেটি এখন স্থায়িত্ব পেয়েছে।

লতাপতায় আচ্ছন্ন ভবনের একাংশ বর্তমানে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং আরেকাংশে একটি বেসরকারি দাতব্য সেবা সংস্থা কার্যক্রম চালাচ্ছে। ভবনটির পিলারের মাথায় এবং দেয়ালেও অসাধারণ নকশা মুগ্ধ করে।

দোতল আরেকটি মহল, যার সামনে বিশাল শান বাঁধানো সিঁড়ি। অন্য সব ভবনের সঙ্গে এটির নকশার যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভবনটির বারান্দা ও পুরোনো কাঠের দরজা সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে কয়েক গুণ। ভবনটির মাথায় ময়ূরের সঙ্গে দুই পাশে দুই নারী মূর্তির দেখা মেলে। সিঁড়ি বেয়ে ছাদে গেলে গাছগাছালির সবুজে ঘেরা পুরো জমিদারবাড়ির সৌন্দর্য বিমোহিত করতে বাধ্য। যদিও ভবনের ভিন্ন অংশ খসে পড়ছে, হারাচ্ছে রূপ-লাবণ্য।

জমিদারবাড়ির পেছনে রয়েছে দীঘি ও দুটি পরিত্যক্ত কূপ। এ ছাড়া জমিদারবাড়ির বিশাল মাঠের এক কোণে নাটমন্দির। জানা যায়, নাগরপুরের সঙ্গে কলকাতার একটি বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে আসেন ধনাঢ্য ব্যক্তি রামকৃষ্ণ সাহা মণ্ডল। তিনিই ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ব্রিটিশদের কাছ থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে জমি কিনে জমিদারি শুরু করেন।

রামকৃষ্ণ সাহার দুই ছেলে বৃন্দাবন ও রাধাগোবিন্দ। রাধা নিঃসন্তান। তবে বৃন্দাবনের তিন ছেলে– ব্রজেন্দ্র মোহন, উপেন্দ্র মোহন ও যোগেন্দ্র মোহন দীর্ঘকাল রাজত্ব করেন। এভাবে পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি তিন ভাইয়ের তরফে বিভক্ত থাকলেও, জমিদাররা সবাই ছিলেন প্রজানন্দিত। বৃন্দাবনের মেজ ছেলে উপেন্দ্রকে কাকা রাধাগোবিন্দ দত্তক নেন। ফলে উপেন্দ্র কাকার জমিদারির পুরো সম্পত্তি লাভ করেন।

দৃষ্টিনন্দন পাকুটিয়া জমিদারবাড়িতে প্রতিনিয়ত পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। ইতিহাসের সাক্ষী বাড়িটি সংস্কার না হওয়ায় একদিকে যেমন সৌন্দর্য হারাচ্ছে, অন্যদিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে অজানা থেকে যাচ্ছে ইতিহাস। জমিদারবাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে নিয়ে সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি জোরালো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ