ভিশন এআই অভ্যাস ও পছন্দ বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিনির্ভর পরিষেবা দেয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ত্রিমাত্রিক বিনোদন জগৎকে যা সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ করবে
বৈশ্বিক টিভি বাজারে ১৯তম বছরের মতো নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে প্রযুক্তি উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওমডিয়ার বলছে, ২০২৪ সালে টিভির বাজারের ২৮.
স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ডিভিশনের ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর জানালেন, বৈশ্বিক টিভি বাজারে ১৯ বছর ধরে টানা স্বীকৃতি অর্জন সত্যিই গর্বের। এমন অর্জন গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাসের দৃষ্টান্ত। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ভবিষ্যতের টিভি শিল্প খাতের সম্ভাবনা উন্মোচনে আমরা এখন কাজ করছি। বৈশ্বিকভাবে প্রিমিয়াম টিভি সেগমেন্টে (আড়াই হাজার মার্কিন ডলারের অধিক মূল্যের) স্যামসাং ব্র্যান্ডের বাজার অংশ ৪৯.৬ শতাংশ। আলট্রা লার্জ ক্যাটেগরিতে (৭৫ ইঞ্চি ও তার অধিক) অংশীদারিত্ব ২৮.৭ শতাংশ। স্যামসাং কিউলেড ও ওলেড সেগমেন্টে নিজেদের সেরাটা ধরে রেখেছে। কিউএলইডি বাজার অংশীদারিত্ব ৪৬.৮ শতাংশ আর ওএলইডিতে বাজার অংশীদারিত্ব ২৭.৩ শতাংশ। স্যামসাং ৮০ লাখের বেশি কিউএলইডি টিভি ইউনিট বিপণন করেছে। উল্লেখ্য, প্রথমবার কিউএলইডি টিভি মোট বৈশ্বিক টিভি বিপণনে ১০ শতাংশ অতিক্রম করেছে। যার মাধ্যমে বিশেষ সেগমেন্টে টিভি বিক্রির সংখ্যা বেড়েছে।
ওএলইডি সেগমেন্টে স্যামসাং ১০ লাখের বেশি ইউনিট টিভি বিক্রি করেছে। ফলে বার্ষিক বিক্রির হিসাবে ৪২ শতাংশ আর বাজার অংশীদারিত্ব ৪.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা ওএলইডি প্রযুক্তির প্রতি ক্রেতার আগ্রহের দৃষ্টান্ত। ওএলইডি ক্যাটেগরিতে স্যামসাং ব্র্যান্ডের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কারণে ক্রেতার মধ্যে এমন ঘরানার টিভির চাহিদা বাড়ছে।
২০২৫ সালের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক প্রদর্শনীতে এআই প্রযুক্তির স্ক্রিন প্রযুক্তির যুগান্তকারী উদ্ভাবন ‘ভিশন এআই’
প্রদর্শন করেছে ব্র্যান্ডটি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের বাজারে এআই প্রযুক্তির নতুন স্যামসাং টেলিভিশন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি বিভিন্ন কাজ সহজ করার পাশাপাশি বিনোদনেও নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে। আর তাই ব্যবহারকারীদের স্বচ্ছন্দে টেলিভিশনে সিনেমা, ওটিটি বা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের পাশাপাশি গেম খেলার সুযোগ দিতে ভিশন এআই প্রযুক্তিনির্ভর ছয়টি মডেলের টেলিভিশন বাজারে এনেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে টেলিভিশনগুলো প্রদর্শনের পাশাপাশি বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্যামসাং বাংলাদেশের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (রিটেইল ও স্ট্র্যাটেজি) রাজীব দাশ গুপ্ত বলেন, ‘এআইয়ের মতো প্রযুক্তি টেলিভিশন দেখা ও গেমিংয়ে দারুণ পরিবর্তন আনছে। যাঁরা প্রযুক্তি ও নকশাকে গুরুত্ব দেন, তাঁদের জন্য স্যামসাং ২০২৫ সিরিজের আওতায় বেশ কিছু নতুন মডেল বাজারে এনেছে। এসব টেলিভিশন দর্শকদের দেখার অভিজ্ঞতাকে বদলে দেবে। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রোডাক্ট ও প্ল্যানিং) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সাল থেকে আমরা সর্বশেষ প্রযুক্তির সব টেলিভিশন গ্রাহকের হাতে তুলে দিচ্ছি। ২০২৫ সিরিজে আমরা এআই প্রযুক্তিসহ বেশ কিছু সুবিধা যুক্ত করেছি। এসব প্রযুক্তি দর্শকের বিনোদন ও গেমারদের গেমিং অভিজ্ঞতা বদলে দেবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৫ সিরিজের আওতায় নিও কিউএলইডি ৮কে, ওএলইডি, কিউএলইডি, ক্রিস্টাল ইউএইচডি, এফএইচডি মডেল ও এইচডি মডেলের টেলিভিশন বাজারে আনা হয়েছে। মডেলভেদে ৩২ ইঞ্চি থেকে ৮৫ ইঞ্চি পর্দার টেলিভিশনগুলোতে এআই আপস্কেলিং প্রো, এআই পিকচার, ডলবি অ্যাটমসের এআই সাউন্ড প্রযুক্তির অ্যাডাপ্টিভ সাউন্ড প্রো প্রযুক্তি রয়েছে। শুধু তা–ই নয়, এআই এনার্জি মোড থাকায় সাধারণ টেলিভিশনের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ করে টেলিভিশনগুলো।
স্যামসাংয়ের তথ্যমতে, নতুন মডেলের টেলিভিশনগুলোতে জেনারেটিভ ওয়ালপেপার, পেট অ্যান্ড ফ্যামিলি কেয়ার ও ইউনিভার্সাল জেসচার সুবিধার পাশাপাশি টাইজেন ইউআই ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে টেলিভিশনগুলোর অপারেটিং সিস্টেম সাত বছর পর্যন্ত হালনাগাদের সুযোগ মিলবে। প্রতিটি টেলিভিশনেই রয়েছে তিন বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা। ট্রান্সকম ডিজিটাল, র্যাংগস ইমার্ট ও ইলেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন শোরুমে পাওয়া যাবে টেলিভিশনগুলো।