যশোরের কেশবপুরে বৈদ্যুতিক মিটার খুলে পলিথিনের কাগজে মুড়িয়ে মোবাইল ফোন নম্বর রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার উপজেলার মজিদপুর ও প্রতাপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফোন নম্বরে কল দিলে টাকা দাবি করছে চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় থানা ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক মিটার চুরি চক্রের সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরে প্রতাপপুর গ্রামের আমিনুর রহমান ও মজিদপুর সাগরদাঁড়ী সড়কসংলগ্ন আবজাল হোসেনের চালকলের বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা মোবাইল ফোন নম্বর রেখে গেছে।

ভুক্তভোগী আবজাল হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে এসে দেখি, মিটারের ওপরের অংশ নেই। সেখানে একটি ফোন নম্বর রয়েছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। থানায়ও অভিযোগ করা হয়েছে।’

মিলের ম্যানেজার আবু তালেবের ভাষ্য, ‘এমন চক্রের কথা আগে কখনও শুনিনি। চক্রটির রেখে যাওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে ফোন করা হয়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তি জানান, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা পাঠালে মিটার ফেরত পাওয়া যাবে।’

আরেক ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য থানায় ছিলেন। একই ফোন নম্বর তাঁর মিটারের পাশে রেখে গেছে। কেশবপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, চক্রটির সদস্যদের আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এমন চক্র দেশের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে জানিয়ে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কেশবপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, তারা মিটার খুলে আশপাশে লুকিয়ে রেখে টাকার জন্য ফোন নম্বর রেখে যায়। এ ধরনের একটি চক্র মজিদপুরে চুরি করেছে বলে অভিযোগ এসেছে। সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হবে। ভুক্তভোগীদেরও অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে আঘাতে ট্রাম্পের ভেটো: ইসরায়েলে প্রতিক্রিয়া কেমন?

ইরানের সর্বেোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার জন্য ইসরায়েল যে গোপন ছক এঁটেছে, তাতে সায় দেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই খবর প্রথম প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। খবরটি বিশ্বের মানুষের মনযোগ আকর্ষণ করার পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আলজাজিরা কথা বলেছে লেখক ও ইসরায়েলের সাবেক কূটনীতিক আলোন পিনকাসের সঙ্গে। 

ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে আলজাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন আলোন পিনকাস। তিনি বলেন, “এই প্রতিবেদনগুলো, যেগুলো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন সূত্রের ভিত্তিতে তৈরি; এগুলো বহু প্রশ্ন তোলে। প্রথম প্রশ্ন হলো, ইসরায়েল কেন এমন কিছু করতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে? আর যুক্তরাষ্ট্র কেনই-বা তা ফাঁস করবে?”

“এটা কি ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ভয় দেখানোর জন্য করা হয়েছে, যাতে তারা বুঝতে পারে কোনো কিছুই বাইরে নয়, সবকিছুই টেবিলে আছে? নাকি এটা শুধুই দেখানোর জন্য যে যুক্তরাষ্ট্র নিজে সংযম দেখাচ্ছে, বা ইসরায়েলকে সংযত থাকতে বলছে? আমার মনে হয় না এটির পেছনে এর চেয়ে বেশি কিছু আছে,” যোগ করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

হামাস থেকে হিজবুল্লাহ: পরাজিত মিত্ররা কি খামেনির পতনের পূর্বাভাস?

তেহরানে আটকা ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার তারেমি, ক্লাব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ‘মিস’

তবে পিনকাস বলেন, “এটি ইরানকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, ইসরায়েল এমন একটি হত্যাকাণ্ড বিবেচনা করছে।”

“ইসরায়েলে এই খবর যেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, তা হলো ইসরায়েল এ ধরনের কিছু চিন্তা করছে, এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘এখন না’। এতে ইরান একটি বার্তা পাচ্ছে যে, এই ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবেই বিবেচনার মধ্যে আছে,” বলেন পিনকাস।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ