বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নম্বর রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা
Published: 22nd, April 2025 GMT
যশোরের কেশবপুরে বৈদ্যুতিক মিটার খুলে পলিথিনের কাগজে মুড়িয়ে মোবাইল ফোন নম্বর রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার উপজেলার মজিদপুর ও প্রতাপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফোন নম্বরে কল দিলে টাকা দাবি করছে চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় থানা ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক মিটার চুরি চক্রের সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরে প্রতাপপুর গ্রামের আমিনুর রহমান ও মজিদপুর সাগরদাঁড়ী সড়কসংলগ্ন আবজাল হোসেনের চালকলের বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা মোবাইল ফোন নম্বর রেখে গেছে।
ভুক্তভোগী আবজাল হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে এসে দেখি, মিটারের ওপরের অংশ নেই। সেখানে একটি ফোন নম্বর রয়েছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। থানায়ও অভিযোগ করা হয়েছে।’
মিলের ম্যানেজার আবু তালেবের ভাষ্য, ‘এমন চক্রের কথা আগে কখনও শুনিনি। চক্রটির রেখে যাওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে ফোন করা হয়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তি জানান, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা পাঠালে মিটার ফেরত পাওয়া যাবে।’
আরেক ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য থানায় ছিলেন। একই ফোন নম্বর তাঁর মিটারের পাশে রেখে গেছে। কেশবপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, চক্রটির সদস্যদের আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমন চক্র দেশের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে জানিয়ে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কেশবপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, তারা মিটার খুলে আশপাশে লুকিয়ে রেখে টাকার জন্য ফোন নম্বর রেখে যায়। এ ধরনের একটি চক্র মজিদপুরে চুরি করেছে বলে অভিযোগ এসেছে। সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হবে। ভুক্তভোগীদেরও অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।