ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দুই কোটি ২০ লাখ লিটার পাম অয়েলসহ ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার মোট নয়টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। 

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সরকারি কাজে বিদেশে থাকায় তিনি ভার্চুয়ালিভাবে মঙ্গলবার কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার পরিশোধিত পাম অয়েল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি লিটার ১৬২ টাকা ১৯ পয়সা দরে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ এ তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৫৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। প্রতি ইউনিট ১২.

৪৭৫ মার্কিন ডলার দরে এ এলএনজি কিনতে মোট ব্যয় হবে ৫৯৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

এছাড়া ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদন বজায় রাখার স্বার্থের জাপানের ‘জেনারেল কন্ট্রাকটার: এমএইচআই’ থেকে দৈনিক উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কারিগরি সহায়তা ক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। এক্ষেত্রে এক বছর কারিগরি সেবা নিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। প্রতি টন ৩৯০ দশমিক ৩৭৫ মার্কিন ডলার দরে এ সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এছাড়া বৈঠকে আরও কিছু পূর্তকাজ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এর আগে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভয় কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে ভূমি-ভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালটি পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ (পিপিপি) উদ্যোগ বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প রস ত ব উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

জেলের জালে ২৩ কেজির কোরাল, ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মামুন জমাদ্দার নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৩ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। শনিবার (১৪ জুন) রাতে কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন সাগরে মাছটি ধরা পড়ে। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে কুয়াকাটার মনিফিস আড়তে মাছটি নিয়ে যান মামুন জমাদ্দার। এসময় মাছটি দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করেন। পরে নিলামের মাধ্যমে ১০৫০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ১০০ টাকায় মোস্তাফিজ নামে এক পাইকারি ব্যবসায়ী মাছটি কিনে নেন। 

জেলে মামুন জমাদ্দার জানান, তিনি মূলত খুটা জাল (ছোট জাল ও ছোট নৌকা) দিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকার করেন। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর তিনি সমুদ্রে মাছ শিকার শুরু করেন। গতকাল রাতে তার জালে কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। এত বড় মাছ জালে ধরা পড়ায় উচ্ছ্বসিত তিনি। 

আরো পড়ুন:

সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, নৌকা জব্দ

জেলের জালে ১০ কেজির কোরাল

মাছ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজ বলেন, “আশা করছি, কুয়াকাটাতেই ভালো দামে মাছটি বিক্রি করতে পারব। কুয়াকাটায় অনেক হোটেল রয়েছে, যেখানে বড় কোরালের চাহিদা রয়েছে।” 

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “নিষেধাজ্ঞা শতভাগ সফল হওয়ায় শুধু কোরালই নয়, আরো বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়তে পারে। সমুদ্রগামী জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশও ধরা পড়তে পারে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ