টিসিবির জন্য দুই কোটি ২০ লাখ লিটার পাম অয়েল কিনবে সরকার
Published: 22nd, April 2025 GMT
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দুই কোটি ২০ লাখ লিটার পাম অয়েলসহ ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার মোট নয়টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সরকারি কাজে বিদেশে থাকায় তিনি ভার্চুয়ালিভাবে মঙ্গলবার কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার পরিশোধিত পাম অয়েল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি লিটার ১৬২ টাকা ১৯ পয়সা দরে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ এ তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৫৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। প্রতি ইউনিট ১২.
এছাড়া ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদন বজায় রাখার স্বার্থের জাপানের ‘জেনারেল কন্ট্রাকটার: এমএইচআই’ থেকে দৈনিক উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে কারিগরি সহায়তা ক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। এক্ষেত্রে এক বছর কারিগরি সেবা নিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। প্রতি টন ৩৯০ দশমিক ৩৭৫ মার্কিন ডলার দরে এ সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এছাড়া বৈঠকে আরও কিছু পূর্তকাজ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এর আগে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভয় কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে ভূমি-ভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালটি পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ (পিপিপি) উদ্যোগ বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র প রস ত ব উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
এলএনজি আমদানি: ব্যয় হবে ১৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা
দেশের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে গত কয়েক বছর ধরে স্পট মার্কেট থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করছে সরকার।
এরই অংশ হিসেবে পৃথক তিনটি কোটেশনের মাধ্যমে আগামী মে, জুন ও জুলাই মাসের জন্য এই তিন কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাব তিনটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
নতুন বছরের আগ মুহূর্তে কেরোসিন-ডিজেলের দাম কমল
সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে ১ কার্গো (২২-২৩ মে ২০২৫ সময়ে ২০তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদনের জন্য সভায় উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
সূত্র জানায়, পেট্রোবাংলার মে মাসের জন্য ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তব আহ্বান করা হলে ৫টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিলকৃত ৫টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এই এক কার্গো এলএনজি সংগ্রহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.১৫ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৫৩৪ কোটি ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৩৬০ টাকা।
সূত্র জানায়, একই প্রক্রিয়ায় জুন মাসের অন্য এক কার্গো এলএনজির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে এবং প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড এই ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.২৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৫৪০ কোটি ৫১ লাখ ৬৪ হাজার ১২৮ টাকা।
সভায় জুলাই মাসের জন্য ও এক কার্গো এলএনজি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিলকৃত ৬টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এমবিটিইউ প্রতি এমবিবিইটএইউ ১১.৩৫৮৮ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৫৪৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ